মাদরাসার মহাপরিচালক থেকে অব্যাহতি নিলেন আল্লামা শফী

0

সিটি নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী।বৃহস্পতিবার রাতে মাদরাসার মজলিসে শুরার বৈঠকে আল্লামা শফী তার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। বৈঠক শেষে মজলিসে শুরার একাধিক সদস্য এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা সালাউদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা নোমান ফয়েজি,মাওলানা সোহায়েদ নোমানী, মহিবুল্লা বাবু নগরী, মুফতী নুর আহম্মদ, মাওলানা দিদার, মাওলানা কবির আহম্মদ ও মাওলানা ফোরহান।

শূরা কমিটির বৈঠকে মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী অব্যাহতি নিয়েছেন । তাকে বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে। অপরদিকে মাদ্রাসার এক শিক্ষক মাওলানা নুরুল ইসলাম কঙবাজারিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে চট্টগ্রাম-নাজিরহাট খাগড়াছড়ি মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে অপ্রীতিকর কোন ঘটনার খবর এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বৈঠকে মাদ্রাসার মহাপরিচালক নিয়োগ ব্যাপারে কোন সিন্ধান্ত হয়নি। শূরা কমিটির সদস্য মাওলানা সালাউদ্দীন নানুপুরী বৈঠকের সিন্ধান্ত মাইকে পাঠ করে শুনান।

আগামী শনিবার শূরার কমিটি বেঠক হওয়ার কথা থাকলে ও বিক্ষোভকারীদের দাবির মূখে বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায় জরুরি বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

গত বুধবার থেকে ৫ দফা দাবি নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। ঐদিন রাতে শূরা কমিটির এক জরুরি বৈঠকে বিক্ষোভকারীদের ৫ দাবির মধ্যে দুই দাবি মেনে নিয়ে শনিবার পুনরায় আহুত বৈঠকে অন্যান্য দাবির ব্যাপারে আলোচনা করার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাদ্রাসায় বন্ধের কথা প্রচারিত হলে বিক্ষোভকারীরা মাদ্রাসার সব ফটক বন্ধ করে বেলা ১১ টা থেকে পুনরায় বিক্ষোভ শুরু করেন। তাই শনিবারের পরিবর্তে বৃহস্পতিবার বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

তাছাড়া সন্ধ্যায় সরকারি এক প্রজ্ঞাপনে মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষনা দিলেও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসা বন্ধের সরকারি সিন্ধান্ত প্রত্যাখান করেন। বিক্ষোভকারীরা মসজিদের মাইকে বলেন- হাটহাজারী মাদ্রাসা সরকারি মাদ্রাসা নয় এবং সরকারি কোন অনুদানে মাদ্রাসা চলে না। তারা মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ ছাড়া অন্য কারো এখানে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয় বলে উল্লেখ করে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীকে মাদ্রাসার কোন ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার আহবান জানান। শূরা কমিটি তথা মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের সিন্ধান্ত ছাড়া অন্য কোন সিন্ধান্ত তারা মেনে না নেয়ার ঘোষনা দেন। বৈঠকে উপস্থিত শূরা কমিটি যদি মাদ্রাসা বন্ধের সরকারি ঘোষণা মেনে নেয়ার সিন্ধান্ত গ্রহণ করেন এতে তাদের কোন আপত্তি থাকবে না বলেও উল্লেখ করেন। সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকায় আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাদ্রাসার বাইরে অবস্থান নেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.