দুর্নীতির জালে চট্টগ্রামের পুলিশ কর্মকর্তারা
মামলার প্রস্তুতি চলছে
গোলাম সরওয়ার,সিটি নিউজ : চট্টগ্রামে দুদকের জালে বেশ কয়েকজন ‘ক্ষমতাধর’পুলিশ কর্মকর্তারা।তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধানে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য মিলেছে। দুদক কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তার সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
নিয়মবহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেও অভিযোগ থেকে বাঁচতে অনেকে সম্পদ রেখেছেন তাদের স্ত্রীদের নামে। এতে দুদকের জালে ধরা পড়ছেন অনিয়মে জড়িত ওসিদের স্ত্রীরাও। পুলিশ কর্মকর্তাদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের অবৈধ আয় ও সম্পদের খোঁজও পেয়েছে দুদক।
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীনের অঢেল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।তার নিজের ও স্ত্রীর নামে নানা জায়গায় এসব সম্পদ গড়ে তুলেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ওসি মহসিন ৭৫ লক্ষ টাকা ও তার স্ত্রীর ৭৩ লক্ষ টাকা জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। মহসীনের নিজের নামে ১৫টি প্লট, ৫০লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র, স্থাবর অস্থাবর সম্পদসহ প্রায় ২ কোটি টাকা ও তার স্ত্রীর নামে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে প্লট, মৎস্য খামার, নির্মণাধীন ৩ তলা বাড়িসহ ২ কোটি ১৩ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।
চট্টগ্রাম জেলা ট্রাফিক পুলিশের সাবেক টি আই মীর নজরুল ইসলামও নিজ নামে ও তার স্ত্রীর নামে ঢাকা ও চট্টগ্রামে গড়েছেন অঢেল সম্পদ।এছাড়াও চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ট্রাফিক শাখার সাবেক পরিদর্শক আবুল কাশেম শাহাদাতের সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুদক।
চট্টগ্রামে এসব পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের। এমন অন্যায় কাজ করার পরও চট্টগ্রামে অনেকটা ক্ষমতা দেখিয়ে দায়িত্ব পালন করেন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা। দীর্ঘদিন ধরে নানা অভিযোগ হলেও কোনো প্রতিষ্ঠান তদন্তে নামেনি। তবে দেরিতে হলেও চট্টগ্রাম মেট্টাপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশের আরো কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জি.এস / সিটি নিউজ,চট্টগ্রাম।