চকরিয়ায় মা-মেয়েকে রশি বেঁধে ঘোরানো মিরান চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে ঘুরছে

0

চকরিয়া প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের চকরিয়ায় গরু চুরির অপবাদ দিয়ে মা-মেয়ের কোমরে রশি বেঁধে প্রকাশ্যে সড়কে ঘুরানো এবং শাররীক নির্যাতনের ঘটনার প্রধান আসামী হারবাংয়ের ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান ওয়ারেন্ট মাথায় নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরলেও চকরিয়া পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছেনা।

হারবাং ফাঁড়ির আইসি আমিনুল এবং চকরিয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সখ্য থাকা ছাড়াও স্থানীয় এমপির কাছের লোক হওয়ায় চেয়ারম্যান মিরানকে পুলিশ গ্রেফতার করছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত ২৩ আগস্ট কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। এতে জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার পরিচালক (উপ-সচিব) শ্রাবন্তী রায়কে প্রধান করা হয়। তদন্ত কমিটিকে পরবর্তী তিন কার্যদিবসের মধ্যেই প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা দিলেও ইতোমধ্যে দুইদফা সময় বর্ধিত করেছে তদন্ত কমিটি। এক মাসেও রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি গঠিত তদন্ত কমিটি।

এদিকে গরু চুরির অপবাদ দিয়ে মা-মেয়ের কোমরে রশি বেঁধে প্রকাশ্যে সড়কে ঘুরানো এবং শাররীক নির্যাতনের ঘটনাটি তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে একটি চিঠি এসে পৌছেছে। চিঠিতে স্থানীয় সরকার পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি ঘটনা তদন্ত করে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসককে।

এ ঘটনায় ২৪ আগস্ট চকরিয়া আদালতের বিচারক রাজিব কুমার দেব স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করে চকরিয়া সার্কেল এএসপিকে নির্দেশ দেন। সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মো: মতিউল ইসলাম তদন্ত শেষে বুধবার (৯সেপ্টেম্বর) আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। আদালতে দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনে মা-মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামসহ ৮ জনের সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরেন তিনি। তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহনের পর ওইদিন আদালতের বিচারক রাজিব কুমার দেব হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

অভিযোগ উঠেছে পুলিশের খাতায় তিনি পলাতক থাকলেও দলীয় সভা সমাবেশে নিয়মিত উপস্থিত থাকছেন এবং ইউনিয়ন পরিষদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। গতকাল শুক্রবার চকরিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের একটি বৈঠকেও তিনি উপস্থিত ছিলেন। এ ধরনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

প্রসঙ্গত গত ২১ আগস্ট চকরিয়ার হারবাং এ গরু চুরির অপবাদ দিয়ে মা-মেয়ের কোমরে রশি বেঁধে ৫ জনকে প্রকাশ্যে সড়কে ঘুরানো এবং শাররীক নির্যাতনের ঘটনায় হারবাংয়ের ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরানকে প্রধান আসামী করে চকরিয়া থানায় মামলা হয়। কিন্তু ওয়ারেন্ট মাথায় নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরলেও চকরিয়া পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছেনা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.