সৌদি প্রিন্স সালমানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে লন্ডনে রাজনৈতিক দল গঠন

0

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্য নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছে। সৌদি আরব থেকে নির্বাসিত কয়েকজন ব্যক্তি এই দল গঠন করেছেন। ক্রাউন প্রিন্সকে ক্ষমতাচ্যুত করা ছাড়াও তাদের আরেকটি লক্ষ্য হচ্ছে সৌদি আরবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।

দেশটিতে গণতন্ত্রের উন্নয়নে বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের আমলে এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক দলের জন্ম হলো। যারা দলটি গঠন করেছেন তারা সবাই সৌদি শাসকগোষ্ঠী থেকে ভিন্ন মতাবলম্বী এবং নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।

গত বুধবার লন্ডনে ‘নিউ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি পার্টি’ নামের একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয়। গত কয়েক দশক ধরে সৌদি আরব আল সৌদ বংশের মাধ্যমে শাসিত হয়ে আসছে। তবে লন্ডনে বসে নতুন এই রাজনৈতিক দলটি কতটা সফলভাবে সৌদি আরবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে নিতে পারবে সেটিই এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।

সৌদি আরব হচ্ছে চরমভাবে রক্ষণশীল একটি দেশ যেখানে সব রকমের রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ। দেশটির রাজপরিবার, এর কোনো সদস্য বা সরকারের ভুলত্রুটি নিয়ে কোনো ধরনের সমালোচনা করা হলে দীর্ঘ মেয়াদের কারাদণ্ড অনিবার্য।

১৯৩২ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ উপনিবেশিকদের সহায়তায় আল-সৌদ পরিবার থেকে ইবনে সৌদ দেশটিতে রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা চালু করেন। সেই থেকে শুধুমাত্র সৌদ পরিবারই সৌদি আরব শাসন করে আসছে।

সৌদি রাজতান্ত্রিক শাসকদের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ পাশ্চাত্যের বেশিরভাগ দেশের সমর্থন রয়েছে। এসব দেশ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কোনো রাজতান্ত্রিক শাসকের বিরুদ্ধে কথা বলে না। তাদের হাতে মানবাধিকার ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হলেও তা নিয়ে কোনো টু শব্দ শোনা যায় না পশ্চিমা শাসকদের মুখে।

এদিকে, বর্তমান ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাচ্ছেন। বাদশাহ সালমানের মৃত্যুর পর তিনিই দেশটির পরবর্তী উত্তরাধিকারী হচ্ছেন বলে ধারণা করা হয়।

ক্ষমতায় বসতে ইতোমধ্যেই সৌদির শাসন ব্যবস্থায় নানা ধরনের পরিবর্তন ও সংস্কারের মাধ্যমে নিজের অবস্থান আরও দৃঢ় করেছেন ক্রাউন প্রিন্স সালমান। দেশজুড়ে কয়েক দফা দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে তার সমকক্ষ হতে পারেন এমন যুবরাজ এবং রাজ পরিবারের সদস্য, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তাকে আটক করিয়েছেন তিনি।

এছাড়া ভিশন ২০৩০ নামে দেশজুড়ে ব্যাপক সংস্কার শুরু করেছেন এই যুবরাজ। দেশটি কট্টর রক্ষণশীল হওয়ায় আগে নারীদের ওপর নানা ধরনের বিধি-নিষেধ ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে নারীদের ওপর থেকে এসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে দেশের তরুণদের আকৃষ্ট করতেই এসব পরিবর্তন আনছেন ক্রাউন প্রিন্স।-পার্স ট্যুডে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.