উন্নয়ণ যন্ত্রনায় ভুঁগছে আগ্রাবাদ পোর্ট কানেক্টিং এলাকার মানুষ

0

গোলাম শরীফ টিটু,সিটি নিউজ : উন্নয়ন যন্ত্রনায় ভুঁগছেন আগ্রাবাদ পোর্ট কানেক্টিং রোড এলাকার উভয় পাশের জনগোষ্ঠি। খুঁড়ে খুঁড়েচলা এ উন্নয়ন যেন তাদের জন্য গলার কাাঁটা। বৃহত্তর আগ্রাবাদ, বন্দর ও হালিশহর এলাকা ছাড়া ও পাহাড়তলী এলাকার মানুষ এই সড়কের উপর নির্ভরশীল। জানা যায়,২০১৭ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া সড়ক প্রশস্ত ও উন্নয়ন কার্যক্রম অধ্যাবধিশেষ হয়নি।

জাপান বাংলাদেশ সাহায্য সংস্থা (জাইকা) অর্থায়নে সড়কটির উন্নয়ন কার্যক্রম দেখ ভালের দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের। বিগত ৩ বছরে সড়কটির কিছু অংশের উন্নয়ন দৃশ্যমান হলেও অধিকাংশ কাজ এখনো চলমান। এ অবস্থায় আগামী দুইমাস পরই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সরেজমিনে দেখাযায়, বড়পোল মোড় থেকে অলংকার পর্যন্ত সড়কের একপাশ কিছুটা ভাল আছে।

পুর্ব পাশের সড়কটি দিয়ে চলাচলের কারন হচ্ছে বড়পোল থেকে ওয়াপদা পর্যন্ত পশ্চিম পাশে সংস্কার কাজ চলছে। চলমান সংস্কার কার্যক্রমের মাঝখানে সড়কটির উভয় পাশে গাড়ি পার্কিং করা হচ্ছে। নগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকার ট্রাক, বাস, মাইক্রো সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকে সড়কের দুইপাশে। নয়াবাজার থেকে সাগরিকা মোড় পর্যন্ত সড়কের অবস্থা খুঁবই নাজুক। এই অংশে যানবাহন চলার সময় রাস্তার মাঝখানে বিকল ও দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন।

সড়কের মাঝখানে বড়-বড় গর্তে পড়ে হতাহতের ঘটনা যেন নিত্য চিত্র। পশ্চিম পাশের সড়কটির এ অবস্থা হলেও চসিক প্রশাসক হস্তক্ষেপে পুর্ব পাশে চলছে সংস্কার কাজ। এ সড়কটির সরাইপাড়া মোড়ে যে ক্রস কালভার্টটি ছিল সেটিও ভেঙ্গে রাখা হয়েছে দুই সপ্তাহ ধরে। এ নিয়ে ঠিকাদারের মাথা ব্যথাও নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় অধিবাসীদের। এমনকি, প্রায় দেড় কিলোমিটার এ সড়কটির সংস্কার কাজের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির অবহেলার কারনে আগামী ১ বছরেও এ কাজ সর্ম্পূন করতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন তারা।

স্থানীয়রা জানান, উন্নয়ন যন্ত্রনার বিগত চার বছর যে কি অসহ্য কষ্ট ও যন্ত্রনার তা আশপাশের বাসিন্দারা জানেন। সড়কের উভয় পাশের বাড়িওয়ালাদের অধিকাংশ বাসা বাড়ি দীর্ঘদিন ধরে খালি। এখানে সড়কের কারনে ভাড়াটিয়া পাওয়া যায় না। প্রায় সব ভবনের অধিকাংশ ফ্ল্যাট বাড়ি খালী। এতে আর্থিক ক্ষতিছাড়াও এলাকারই মেজ ক্ষুন্ন হচ্ছে।

একজন বাড়িওয়ালা জানান,অসুস্থ কোন রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া যায় না, আত্বীয়-স্বজনরাও বেড়াতে আসেন না। উপযুক্ত ছেলে-মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না। কি যে কষ্টে দিন কাটছে বোঝানো যাবেনা’।

স্থানীয়দের মতে, চসিকপ্রশাসক খোরশেদ আলমসুজনদায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে উন্নয়ন কর্মকান্ডে গতিবাড়লে ও ঠিকাদারদের কাজে শৃঙ্খলা ফিরেনি।
চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সৈয়দ আহমেদ, পিএসসি বলেন,’পোর্ট কানেক্টিং সড়কটির সংস্কার কাজ চার ভাগে ভাগ করা হয়। এখন যে অংশে কাজ চলমান রয়েছে তার অংশের ঠিকাদার তাহের ব্রাদার্স। অপর অংশের ঠিকাদার মেক। তাহের ব্রাদার্সকে চলতিবছরের ফেব্রুয়ারীতে কাজ করার অনুমতি দেয়া হলেও এর মধ্যে ৬০ শতাংশ কাজ শেষ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

অথচ গত বছরের জুলাই মাসে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান “মেক” কে তাসফিয়া থেকে সাগরিকা পর্যন্ত মোট ১.৫৩ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজের দায়িত্ব দেয়া হলেও প্রতিষ্ঠানটি কেবল শেষ করেছে ৩৫ শতাংশ কাজ। অনেকটা চাপের মধ্যে রেখেও প্রতিষ্ঠানটির কাজে অগ্রগতি আনা যাচ্ছে না। চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে তাদের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.