অবহেলিত সোনাদিয়া দ্বীপে স্বপ্নযাত্রীর স্যানিটারী ল্যাট্রিন!

0

সিটি নিউজ,মহেশখালী : কক্সবাজার জেলার অবহেলিত সোনাদিয়া দ্বীপে মানবতার আলো জ্বালাতে কাজ করছেন জয় বাংলা ইয়ুথ এ্যাওয়ার্ড বিজয়ী স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন। মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নে অবস্থিত একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সোনাদিয়া।চারদিকে গভীর সমুদ্রের সাগরের ঢেউ সমৃদ্ধ এটি মূলত প্যারাদ্বীপ নামে পরিচিতি।

অবাক করার মত বিষয় হল এই দ্বীপে তেমন কোন স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারী ল্যাট্রিন নেই।যার ফলে দ্বীপবাসী খোলা আকাশের নিচে মলমূত্র ত্যাগ করেন।স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন এর সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমে সম্প্রতি এখানে একটি স্যানিটারী ল্যাট্রিন স্থাপন করেন পরবর্তীতে স্বাস্থ্যসম্মত আরো স্যানিটারী ল্যাট্রিন স্থাপনের জন্য পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

কক্সবাজার শহর থেকে ৭ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমের দূরে সাগর গর্ভে অবস্থিত। দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৯বর্গকিলোমিটার।জনসংখ্যা প্রায় ২হাজার।যাদের পেশা লবন চাষ ও মৎস্য স্বীকার।নিরক্ষর এলাকাটি দস্যু এলাকা হিসাবে পরিচিত যার কারনে এখানে দিনে আসতেও মানুষ ভয় পায়।

দুঃখজনক হলেও সত্য মৌলিক অধিকার বঞ্চিত এই দ্বীপবাসী। সড়ক যোগাযোগ বিদ্যুৎবিহীন এই দ্বীপে যাতায়াত ব্যবস্থা ঘটি ভাঙ্গা থেকে দিনের একমাত্র বোট বা ৪ঘন্টা কর্দমাক্ত পথে পায়ে হেটে।

                                                                                                                                 স্বপ্নযাত্রীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

পূ্র্বপাড়া একটি প্রাইমারী স্কুল থাকলেও পশ্চিম পাড়া নেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্টান।যেখান থেকে ২ঘন্টা সড়কবিহীন পথে হাটা বাচ্ছাদের পক্ষে অসম্ভব প্রায়।যেসব কারণে শিশু কিশোর সকলে নিরক্ষর।

এই দ্বীপে শিক্ষার আলো জ্বালাতে একটি বিনামূল্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেছে স্বপ্নযাত্রী।যেটি হবে পশ্চিম পাড়ার প্রায় ১হাজার মানুষের একমাত্র শিক্ষালয়।সাপোর্ট পেলে এটিকে প্রাইমারী ও মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করা হবে।এই বিদ্যাপীঠে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও অভিভাবক সমাবেশ করা হয় যাতে অভিভাবকরা সচেতন হোন এবং বাচ্ছাদের স্কুলে পাঠান।

শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ
এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.