ড. হোসেন জিল্লুর রহমান সমাজ ও রাষ্ট্রের বাতিঘর

0

জুবায়ের সিদ্দিকী, সিটি নিউজ : টিভি পর্দায় টকশোতে সুশীল সমাজ যুক্তি তর্কের ভেতরে সরকারকে ধোলাই করার চেষ্টাই এখন চোখে পড়ে। সুশিল সমাজ মানেই সরকারের কট্টর সমালোচক। দেশের বারোটা বাজাচ্ছে, সব কিছু গেল, সর্বনাশ হয়ে গেল বলা এখন তাদের প্রধান কাজ। কিন্তু এর মধ্যে কিছু মানুষ আছেন। যারা কাজ করেন নীরবে। নিজেকে জাহির বা পাদপ্রদীপে রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন না। যে কোন বিষয়ে হুলস্থুল করার মনমানসিকতা নেই। কিন্তু জাতির সংকটে ঠিকই তার দায়িত্ব পালন করেন নিষ্ঠার সাথে, সচ্ছতার সাথে। তাদের একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। বর্তমানে তিনি ব্র্যাক বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ১৯৯৬ সালে “পাওয়ার এন্ড পার্টিশিপেশন রিচার্স সেন্টার (পিসিআরসি) গঠন করেন। দারিদ্র বিমোচন, সামাজিক নিরাপত্তা ও সুশাসন তার গবেষনার বিষয়। নীরবে নিভৃতে কাজ করছেন। এই গবেষক ২০০৮ সালে ৯ জানুয়ারী প্রথম আলোচনায় আসেন। এই সময় বিতর্কিত দুই উপদেষ্টা বিদায় নিলে যাদের নতুন করে উপদেষ্টা করা হয় তাদের একজন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

যখন জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ এর ক্ষমতা দখলের অভিলাষ ফিকে হয়ে আসে তখন তিনি দেশে গণতন্ত্র উত্তরণের পথ খুঁজতে থাকেন। এজন্য তিনি এমন কাউকে খুঁজে নিয়েছিলেন যিনি ঠান্ডা মাথায় গণতন্ত্র উত্তরণের সমঝোতার পথ তৈরী করেন।

ড. ফখরুদ্দিন আহমদের তত্বাবধায়ক সরকার শেষ পর্যন্ত একটি অবাধ ও সুষ্ট নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সক্ষম হয়েছিলেন তার বড় কৃতিত্ব ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের। হোসেন জিল্লুর রহমানকে বেছে  নিয়েছিলেন ড. ফখরুদ্দিন আহমেদ। তিনি চেয়েছিলেন একজন ঠান্ডা মাথার বুদ্ধিদীপ্ত মানুষ। যিনি দু’টো রাজনৈতিক দলের সাথে সমঝোতা করতে সক্ষম। হোসেন জিল্লুর দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরী হয়। এটি উপদেষ্টা পরিষদে ‍উপস্থাপন করেন। এরপর দুই নেত্রীর মুক্তি। নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনি অন্যতম ভূমিকা পালন করেন।

তিনি প্রায় একবছর তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তাকে নিয়ে বিতর্ক হয়নি কখনো। খুব বেশী কথাও বলেননি কখনো। এখনও খুব বেশী সরব নন তবে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে নীরবে কাজ করছেন। গণতন্ত্র উত্তরণে তিনি একজন সাহসী ও নির্ভীক যোদ্ধা। সারাক্ষণ ওয়াজ- নসিয়ত ও গলাবাজী না করে কিভাবে বু্দ্ধিচর্চা করা যায় তার ভালো উদাহরণ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার বলেন, হোসেন জিল্লুর রহমান স্যার চন্দনাইশের গর্বিত সন্তান। তিনি আমাদের গর্ব। স্যার একজন অমায়িক ও নিরহংকারী গুণীজন। চট্টগ্রামবাসীর অহংকার ড. হোসেন জিল্লুর রহমান স্যার সমাজ ও রাষ্ট্রের বাতিঘর বলে আমি মনে করি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.