জাহালমের জেল কান্ডঃ ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ বিনাপরাধে কারাভোগ করানোয় জাহালমকে ব্র্যাক ব্যাংককে ১ মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দেয়া রায়ে হাইকোর্ট বলেন, অনভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ায় দুদকের বড় ভুল। দুদককে ভর্ৎসনাও করেছে আদালত। আদালত বলেছেন, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ব্র্যাক ব্যাংকে। এ ঘটনাটি উদঘাটন করা চ্যানেল 24 কে ধন্যবাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩ মামলায় পাটকল শ্রমিক নিরপরাধ জাহালমকে তিন বছর জেল খাটানোর ঘটনা সবারই জানা।

চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের অনুসন্ধানে প্রকৃত অপরাধী আবু সালেককে খুঁজে বের করা না গেলে, এখনও হয়তো কারাগারের অন্ধকারেই কাটতো জাহালমের দিন। জাহালম এখন মুক্ত। কিন্তু জীবন থেকে হারিয়ে গেছে তিনটি বছর।

চ্যানেলটির দীর্ঘ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে নানা তথ্য। জাহালম যেখানে বাংলায় স্বাক্ষর করতে পারেন না সেখানে চেকে স্বাক্ষর ইংরেজিতে। এ নিয়ে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামির সাথে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের কথা হয়, যিনি সালেকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলেন এবং আদালতেও জবানবন্দি দেন।

ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের সাথে জড়িত নজরুলের স্বীকারোক্তি ধরে এগোলে সালেককে খুঁজে বের করা সম্ভব ছিলো। কিন্তু দুদক বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যায়। চ্যানেলটি টোয়েন্টিফোর জাহালমের দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র খুঁজে বের করে। এর একটিতে ঠাকুরগাঁওয়ের ভোল্লা এবং অপরটিতে গ্রামের ঠিকানা দেখানো হয়েছে জামালপুরের পিংনা।

দুটি আইডি কার্ডে সব মিল থাকলেও অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে ভেতরের দুটি ডিজিট পরিবর্তন করা হয়েছে। এর বাইরে জন্ম তারিখ ঠিক থাকলেও পিতার নাম এবং ঠিকানা বদলে ফেলা হয়েছে।

পুরো ঘটনার খলনায়ক আবু সালেক মূলত কাজ করতেন, নির্বাচন কমিশনের ভোটার আইডি কার্ড প্রস্তুত প্রকল্পে। সেই সুযোগ নিয়েই একজন নিরীহ মানুষকে ফাঁসিয়ে দেন। আড়াল করেন নিজের অপকর্ম।

ভুল আসামি জাহালমকে নিয়ে রিপোর্ট প্রচারের পর নড়েচড়ে বসে দুদক। সাথে যোগ দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও। তবে এখনো পর্যন্ত মামলার মূল আসামী আবু  সালেক আত্মগোপনে রয়েছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.