সাতকানিয়া সীমান্তে চন্দনাইশের চরবরমা,বাড়ছে ভূমিবিরোধ

সীমানা নির্ধারণ জরূরী

0

চন্দনাইশ প্রতিনিধি,সিটি নিউজ : দক্ষিন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার খরস্রোতা শঙ্খ নদীর ভাঙনে ৫নং বরমা ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় জমি ও লোকালয় প্রায় লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বর্তমান মহাজোট সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিনের শঙ্খ নদীর ভাঙন সম্প্রতি রোধ করা হলেও সীমানা নির্ধারণী পিলার এখনো স্থাপন করা হয়নি। ফলে, উক্ত সীমান্ত এলাকায় সীমানা নির্ধারণী পিলার না থাকায় এলাকা প্রায় অরতি হয়ে পড়েছে। এটি কেবল ইউনিয়ন সীমান্ত নয়,উপজেলা সীমান্তও।

সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামের কিছু লোক বরমা ইউনিয়নের পশ্চিম চরবরমা ও আড়ালিয়া গ্রামে প্রায়ই অনুপ্রবেশ, অবস্থান, চলাচল ও বিবাদ সৃষ্টি করে। ঐ সুযোগসন্ধানীরা বিভিন্ন সময়ে দুই উপজেলার মানুষের মধ্যে ভূমিবিরোধ সৃষ্টিসহ বিভিন্নভাবে ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি করে থাকে।

এ ছাড়াও জমির দখলদারিত্ব নিয়ে পক্ষে বিপক্ষের লোকের মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা লেগে থাকে। আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে। সীমানা খুঁটি বা পিলার না থাকায় ৫নং সীট ও ৬নং সীট বরমা ইউনিয়নে হলেও বাতাজুরি, চরবরমা, আড়ালিয়া সীটের অন্তর্ভুক্ত জমির মালিক হওয়ার সত্ত্বেও মালিকানা থেকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত হচ্ছে।

জানা যায়, তুলাতলীর কিছু লোক নিয়মিত চরবরমা ও আড়ালিয়া গ্রামে অনুপ্রবেশ করে এখান থেকে কৌশলে সামাজিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে চায়। অসামাজিক কার্যকলাপ ও সংঘাত-সংঘর্ষ সৃষ্টি করে শঙ্খ নদী পার হয়ে সাতকানিয়ায় আত্মগোপন করে। কেউ কেউ সামাজিক সুবিধা নিতে দুই উপজেলারই অধিবাসী দাবি করে। আবার আইনী ব্যবস্থা বা শাস্তি থেকে বাঁচতে “কোন থানার নয়” দাবি করে। গ্রাম, ইউনিয়ন বা উপজেলা সীমান্ত অরতি ও অস্থিতিশীল করে রাখতে চায়। বিশেষ করে নদী থেকে জেগে ওঠা জমি দখল করতে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে। যে কারণে সীমানা পিলার না থাকায় বিপাকে পড়তে হয় স্থানীয় সরকার বা জনপ্রতিনিধিদেরও।

 শঙ্খ নদীর দু পাশে সাতকানিয়া ও চরবরমা

অভিজ্ঞমহল মনে করেন, সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তার জন্য সাতকানিয়া উপজেলা এলাকাসংলগ্ন বরমা, পশ্চিম চরবরমা ও আড়ালিয়া গ্রামের সীমান্তে জরুরী ভিত্তিতে সীমানা পিলার নির্মাণ অতীব প্রয়োজন। এজন্য স্থানীয় জনগণ জরুরী ভিত্তিতে উক্ত এলাকায় সীমানা পিলার নির্মাণ বা স্থাপনের দাবি জানান। বরমা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, জরুরী ভিত্তিতে সীমানা পিলার স্থাপন করা হলে প্রশাসন, স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট জনগণ লাভবান হবে। চন্দনাইশ সমিতি-ইউএই’র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জালাল চৌধুরী বলেন, সীমানা নির্ধারণী পিলার স্থাপন হলে আইন-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল থাকবে এবং ভূমিবিরোধও মিটে যাবে। স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রায় ও জনগণের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সীমানা নির্ধারণী পিলার নির্মাণ অতীব জরুরী।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.