নির্বাচনে ব্যক্তির প্রস্তুতির চেয়ে সংগঠনের প্রস্তুতি হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথাঃ রেজাউল করিম চৌধুরী

0

জুবায়ের সিদ্দিকী/দিলীপ তালুকদারঃ চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখন চসিক নির্বাচনের হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে। প্রত্যেকটা ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের সাথে বিভিন্ন সময়ে মতবিনিময় করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

করোনার কারনে নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে গেলেও তিনি বসে নেই। জনগণের সাথে মতবিনিময় ছাড়াও করোনার সময়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন নগরীতে। সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব রেজাউল করিম চৌধুরী। নগরীর বহদ্দারহাটে বনেদি পরিবারের সন্তান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের একজন পরীক্ষিত ত্যাগী নেতা। ক্লিন ইমেজের এই রাজনীতিবিদ একাত্তরের রণাঙ্গনের একজন সাহসী যোদ্ধা ছিলেন।

বুধাবর ৭ অক্টোবর সকালে নগরীর বহদ্দারহাটে তার ‍নিজস্ব বাসভবনে কথা হয় সিটি নিউজ এর সাথে। রেজাউল করিম বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির ব্যাপারটা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের। সে হিসেবে যদি ধারণা করি তাহলে ১৮০ দিনের মধ্যে পড়ে। তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। চসিক এখন চোরের খনি প্রশাসকের এমন মন্তব্যের ব্যাপারে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, চোরের খনি সরাসরি বলা সমীচিন নয়। দুর্নীতি সর্বত্র আছে। এমন কোন দেশ নেই দুর্নীতি নেই। ইনশল্লাহ্ আমি যদি মেয়র নির্বাচিত হই, প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার পদক্ষেপ নেব। তাহলে দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

রেজাউল করিম বলেন, জলাবদ্ধতার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে জননেত্রী শেখ হাসিনা ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছেন। সেই ৬ হাজার কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম অনেকাংশে জলাবদ্ধতা দূর হবে। এবার দেখেছেন অতীতের মতো জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়নি। মেয়র নির্বাচিত হলে আমি জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ নেব। চট্টগ্রাম মহানগরীকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নেব। নগরবাসীর দুঃখ-কষ্ট কিভাবে লাগব হবে সেটা করাই হবে আমার দায়িত্ব ও কাজ।

তিনি বলেন, নির্বাচনে ব্যক্তির প্রস্তুতির চেয়ে সংগঠনের প্রস্তুতি হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে চট্টগ্রামের মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ একটা বড় সংগঠন। আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যন্ত বিশাল কর্মী বাহিনী রয়েছে। এই কর্মী বাহিনী কাজ করছে। আমিতো আওয়ামী লীগেরই প্রার্থী। তিনি বলেন সংগঠন মজবুত থাকলে, তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত থাকলে, সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার থাকে। করোনা ভাইরাসের সময় খাদ্য সামগ্রী, সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণে ব্যস্ত ছিলাম। এখন করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রনে ও জীবন যাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসছে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে ও মানুষের জীবন-জীবিকার তাগিদে সরকারের সহযোগীতার জন্য জনগন প্রশংসা করছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এটা সম্ভব হয়েছে।

বর্তমান প্রশাসকের কর্মকান্ডকে কিভাবে মূল্যায়ন করেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে রেজাউল করিম বলেন, তিনি ভাল কাজ করছেন। কর্পোরেশনকে একটা সিস্টেমে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। ভালইতো। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও মানুষের ভোগান্তির ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে সারা বিশ্বে এর একটা অর্থনৈতিক প্রভাব পড়েছে। তবে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের কৃত্রিম সংকটসহ নানা কারবারীর বিরুদ্ধে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছেন। এই উর্ধ্বগতি অবশ্যই ইনশল্লাহ্ নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে রেজাউল করিম বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন চসিক নির্বাচনের পূর্বে হবে না। আমরা আমাদের কার্যকরী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি নির্বাচনের আগে কোন কমিটি গঠন করা হবে না। নগর আওয়ামী লীগসহ সকলের নির্বাচনী সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও সহযোগীতা পাচ্ছি আমরা। ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ইনশল্লাহ্ আল্লাহর ইচ্ছায় ও জনগণের দোয়া-ভালোবাসায় সামনের ‍দিনগুলোতেও মানুষের পাশে থাকতে চাই।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.