মন্ত্রীর প্রশ্ন কর্ণফুলীর পাড় কেন লিজ দেওয়া হচ্ছে ?

0

সিটি নিউজঃ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম প্রশ্ন করে বললেন, কর্ণফুলী নদীকে ঘিরেই এ বন্দর নগরী চট্টগ্রাম তবে কর্ণফুলীর পাড় কেন লিজ দেওয়া হচ্ছে? আজ কর্ণফুলী নদীটিই দখলে দূষণে বিপর্যস্ত।

মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর গর্বের জায়গা। বন্দরের জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে। আর কর্ণফুলী নদীর পাড় লিজ দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ কেন দিচ্ছেন আমি জানি না। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের ইকোনমিক হাব। সমুদ্রবন্দর গড গিফটেড। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ২০০০ সালেই সিঙ্গাপুর হতো। আমাদের প্রাকৃতিক সুযোগ রয়েছে। ঢাকার পাঁচটি নদী ও কর্ণফুলীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা, অবৈধ দখল ও দূষণ বন্ধে কাজ করছি আমরা। ঢাকার বাইরে এটি প্রথম সভা। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছিলেন সভাটি এখানে করার জন্য। দুর্ভাগ্য তিনি এখন অসুস্থ।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এলজিইডি আয়োজিত কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের বাস্তবায়ন, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উন্নয়ন সংক্রান্ত আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

এলজিইডি মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখেন। পথনকশা তৈরি করেছেন। ঢাকাতে উন্নয়ন সীমাবদ্ধ রাখা হবে না। গ্রামেও পৌঁছে দেওয়া হবে। আমাদের বিভিন্নভাবে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাদের উপলব্ধি এসেছে, বিভাজন নয়, ঐক্যবদ্ধ হবো। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ।

করোনার দখল কাটিয়ে উঠার কথা তুলে ধরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমরা অর্থনীতির শঙ্কার জায়গা থেকে বেরিয়ে গেছি। কোভিডের কারণে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও আমরা জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা মোকাবেলা করতে পারবো।

চট্টগ্রাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, চট্টগ্রাম দৃষ্টিনন্দন শহর হবে। গড গিফটেড অপরচুনিটি রয়েছে। আউটার রিং রোড, কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ করতে পারলে হাজার হাজার পাঁচ তারকা হোটেল হবে। এর জন্য রকেট সায়েন্সের দরকার হবে না। শুধু চট্টগ্রাম পর্যটন খাত দিয়ে পুরো দেশকে এগিয়ে নেবে। তবে অবকাঠামো যাতে আগামী দিনের দুর্ভাগ্য ডেকে না আনে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের ব্যাপারে আন্তরিক। তাই এত প্রকল্প ও টাকা দিয়েছেন। আরও দেবেন যদি কাজে লাগাতে পারি। আগে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলতেন, ইনকাম জেনারেট করতে হচ্ছে। এখন সরকার সহায়তা দিচ্ছে।

বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, নৌসচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান, বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, চসিকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম চৌধুরী, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.