চট্টগ্রাম নগর সেচ্ছাসেবক দলে অপরাধীদের ঠাঁই

0

গোলাম শরীফ টিটু, সিটি নিউজঃ চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদ্য ঘোষিত কমিটিতে স্থান পেয়েছে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী ও ইয়াবা কারবারীর অভিযুক্ত লোকজন। অভিযোগ রয়েছে, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের পদ দেওয়া হয়েছে। পদবঞ্চিতদের অনেকে বলেছেন, ’সদ্য ঘোষিত ১৭১ সদস্যের কমিটিতে অর্ধশতাধিক বিতর্কিত লোজন ঠাঁই পেয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্র মতে, ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী নগরীর বৌদ্ধমন্দির এলাকায় পাঁচ লাখ টাকা ছিনতাই মামলার আসামী নুরুল আলম শিপু। এ কমিটিতে যুগ্ন সম্পাদক করা হয়েছে তাকে। ১০৫টি আসনের ৫২ টি ট্রেনের টিকেট সহ লুৎফর রহমান জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে গোয়ন্দো পুলিশ। ২০১৮ সালের ১৮ আগষ্ট গ্রেপ্তার হওয়া জুয়েলকে করা হয়েছে সাহিত্য সম্পাদক। ইয়াবা কারবারী হিসেবে কারাভোগ করা মো: দিদার হোসেনকে করা হয়েছে সহ-সাধারন সম্পাদক। হত্যা মামলার আসামী জহিরুল হক টুটুলকে করা হয়েছে যুগ্ন সম্পাদক। ইয়াবা ও মাদক মামলায় কারাভোক করা ওয়াকিল হোসেনকে যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আরও অনেক গুরুতর অপরাধীকে পদ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে সামাজিক অপরাধীদের দায়িত্ব দেওয়ায় সিনিয়র নেতারাও বিব্রতবোধ করছেন। নগর সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ বলেন, যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো অথেনটিক নয়। একটা কমিটি হলে অনেক সমস্যা থাকতে পারে। তবে এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।

তবে প্রথমবারের মত পাওয়া পুর্নাঙ্গ কমিটি নিয়ে পদবঞ্চিতদের অভিযোগের শেষ নেই। রাজনৈতিক মামলার আসামী ও হামলার শিকার কর্মীদের প্রাধান্য দেয়ার কথা বলা হলেও সামাজিক অপরাধীদের পুর্নবাসন করার অভিযোগ উঠেছে।

দলীয় সুত্র মতে, ১৯৯৫ সালে নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন সৈসয়দ আজম উদ্দিন ও এস কে খোদা তোতন। তারা পুর্নাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি। ২০০৫ সালের ৮ জুন সম্মেলনের মাধ্যমে সৈয়দ আজম উদ্দিনকে সভাপতি ও এস কে খোদা তোতনকে সসাধারন সম্পাদক করে দুই সদস্যের কমিটি করা হয়। তারাও পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি।

২০১৮ সালের ২৬ জুলাই ৭ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষনা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে এইচ এম রাশেদকে সভাপতি ও বেলায়েত হোসেন বুলুকে সাধারন সম্পাদক করা হয়।এই কমিটির পুর্নাঙ্গ কমিটি ২২ সেপ্টেম্বর কেন্দ্র থেকে অনুমোদন করা হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.