বরিশালের সেই ৪ শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা স্থগিত

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ হাইকোর্ট বরিশালের বাকেরগঞ্জে ৪ শিশুর বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন । একইসঙ্গে ওই ৪ শিশু এবং তাদের পরিবারের নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন আদালতের কাছে।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ৮ অক্টোবর ৪ শিশু নিয়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ৪ শিশুকে তাদের অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

একইসঙ্গে আজ রবিবার বরিশালের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে হাইকোর্টে হাজির এবং ওই ৪ শিশুকে অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে হাইকোর্টে নিয়ে আসতে বাকেরগঞ্জ থানার ওসিকে নিয়ে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এই আদেশ অনুসারে গত বৃহস্পতিবার রাতেই তাদের জামিন দিয়ে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে তাদের অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দিতে পদক্ষেপ নেন সংশ্লিষ্টরা।

পরদিন শুক্রবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ওই ৪ শিশুকে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়া হয়। রোববার ওসি শিশুসহ তাদের অভিভাবকদের নিয়ে হাইকোর্টে উপস্থিত হন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান।

শুনানি শেষে আদালত ওই শিশুদের মামলার কার্যক্রম স্থগিত, শিশু ও শিশুদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং বিচারককে হাইকোর্টে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ২২ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

গত ৬ অক্টোবর বাকেরগঞ্জ থানায় ছয় বছর বয়সের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মামলার আসামিরা ওই শিশুটির খেলারসঙ্গী। ৪ অক্টোবর বিকালে বাগানের মধ্যে খেলার সময় তাকে তিন আসামির সহযোগিতায় এক আসামি ধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

মামলার আসামিদের একজনের বয়স ১১ ও বাকি তিন জনের বয়স ১০ বছর দেখানো হয়েছে। পরে গত বুধবার ৭ অক্টোবর বিকালে তাদের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাকেরগঞ্জ আমলী আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।

আদালতের বিচারক মো. এনায়েতউল্লাহ এক আদেশে আসামি চার শিশুকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শিশুদের অভিভাবকরা জানান, সন্তানদের ফিরে পেয়ে আমরা অসম্ভব খুশি। সন্তানদের চিন্তায় তিন দিন নির্ঘুম রাত কাটেছে। এত তাড়াতাড়ি তারা বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাবে এটা কখনো ভাবিনি। ওদের ফিরে পাওয়ার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.