বন্ধে ঘরে বসে মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবেঃ প্রধানমন্ত্রী

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্কুল বন্ধের এই সময়ে শিক্ষার্থীদের ঘরে থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। বন্ধের সময়টা পড়ালেখার কাজে ব্যবহার করলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। তাদের মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে।

আজ রবিবার (১৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

গণভবন থেকে শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণ এবং বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের শিশুরা দেশপ্রেমিক হবে, মানুষের মতো মানুষ হবে। মানুষের সেবা করবে এবং নিজেদের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। আধুনিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত হবে। করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ। এটা সত্যি যেকোনো একজন শিশুর জন্য খুব কষ্টকর। কিন্তু হয়তো এই অস্বাভাবিক অবস্থা থাকবে না। তবু আমি তাদের বলব যে মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি জানি করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, এটা যে কোনো শিশুর জন্য কষ্টকর। ঘরে বসে পড়াশোনা করা, যে যা করতে পারে সেটাও তাদের করতে হবে। যেন যখন স্কুল খুলে তখন তারা আবার সবকিছুই করতে পারে। আমি অভিভাবকদের বলব, যার যার ছেলেমেয়ে যেন অন্যান্য এক্সারসাইজ ও খেলার ব্যবস্থা করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবাই যেন সুরক্ষা মেনে চলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। ৩০ লাখ শহীদ রক্ত দিয়েছেন। দুই লাখ মা-বোন যে অবদান রেখেছেন, সে কথা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে। অনেক রক্তের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছবে। আমি কবি সুকান্তের ভাষায় এটিই বলতে চাই, এই বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার অঙ্গীকার।

তিনি বলেন, রাসেল আজ আমাদের মাঝে নেই। একটা ছোট শিশু ছিল কিন্তু সেই শিশুটাকে বাঁচতে দেয়া হয়নি। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটুক, সেটাই আমরা চাই। আমাদের প্রত্যেকটা শিশু লেখাপড়া শিখে আগামী দিনে এই দেশের কর্ণধার হবে। সুন্দরভাবে বাঁচবে সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রী যুগ যুগ ধরে যারা পড়াশোনা করবে, অন্তত তারা এইটুকু জানবে, এই টুকু শিখবে; একটা ছোট শিশু ছিল এই স্কুলে। কিন্তু সেই শিশুটাকে বাঁচতে দেয়া হয়নি। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটুক, সেটাই আমরা চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা করার একটা উদ্দেশ্যই ছিল যে এদেশের শিশুদের সঠিকভাবে গড়ে তোলা। দেশপ্রেমিক করা, দেশের সেবার করার মনোভাব যেন তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে। তারা যেন সুনাগরিক হয়ে গড়ে ওঠে, সেদিকে চিন্তা করেই এই সংগঠনটা তৈরি করা হয়েছিল। আজ দেশব্যাপী এই সংগঠনের অনেক ছেলেমেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। অনেকে রাজনীতিতেও যথেষ্ট অবদান রেখে যাচ্ছে। সেই ছোট্ট শিশু থেকে তারা এখন অনেকেই বড় হয়েছে। অনেকেই বিভিন্ন কর্মস্থলে যোগ দিয়েছে।

লাইভে কেন মাস্ক পরে নেই সে বিষয়ে তিনি বলেন, আমি হয়তো মাস্ক পরে বলছি না, কারণ আমার এখানে কেউ নেই। যারা আছে তারা অনেক দূরে। আবার বেশি লোক থাকলে আমিও সেখানে মাস্ক পরি। সবাইকে বলব, যেখানে মানুষ বেশি সেখানে মাস্ক পরে থাকতে হবে। শরীরের প্রতি যত্ন নিতে হবে।

শহীদ শেখ রাসেলকে নিয়ে তৈরি এনিমেটেড ডকুমেন্টরি ‘বুবুর দেশ’ প্রদর্শনীর উদ্বোধন, শেখ রাসেলের জীবনীর ওপর প্রকাশিত বই ‘শেখ রাসেল আমাদের আবেগ, আমাদের ভালোবাসা’র মোড়ক উন্মোচন ও ছবি প্রদর্শনীর উদ্বোধন; ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ শেখ রাসেলের ‘ম্যুরাল’ উন্মোচন ও ‘শহীদ শেখ রাসেল ভবন’ উদ্বোধন; শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের কার্যক্রম সংক্রান্ত ভিডিও চিত্র অবলোকন ‘স্মৃতির পাতায় শেখ রাসেল’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার বিতরণ, শিক্ষাবৃত্তি প্রদান এবং দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.