দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতারা ব্যস্ত ঠিকাদারী ও ব্যবসা-বাণিজ্যে
গোলাম শরীফ টিটু, সিটি নিউজঃ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের নেতারা ব্যস্ত ঠিকাদারী ও ব্যবসা-বাণিজ্যে। গত ১০ বছরে অনেক নেতা ঠিকাদারী, তদবির ও ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক ব্যবসা ও দখল বাণিজ্যের অভিযোগ। যুবলীগের নেতাদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ দলীয় কর্মসসুচী পালনের আগ্রহ নেই। চলেন যে যার মত। কেউ দলের মন্ত্রী ও এমপি’দের পেছনে ছায়ার মত লেগে থাকেন। এভাবেই ৩ বছরের কমিটি ১০ বছর পার করছে।
করোনাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্ভোগে বিভিন্ন সংগঠন মানবতার কল্যাণে মানুষের পাশে থাকলেও দ্বন্দ্ব- গ্রুপিং এর কারনে ’একমঞ্চে’ এসে সামাজিক কর্মসুচীও পালন করতে পারেনি দক্ষিন জেলার নেতারা। দক্ষিণ জেলার আওতাধীন কয়েকটি উপজেলা ও পৌরসভা কমিটির পরিবর্তন হলেও জেলা কমিটিরই মেয়াদোত্তীর্ণ।
জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১০ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তীতে ৭১ জন বিশিষ্ট পুর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয় কেন্দ্র থেকে। এরপর বারবার নতুন কমিটি গঠনের কথা উঠলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।
বর্তমানে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ.ন.ম টিপু সুলতান চৌধুরী ও সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক পার্থসারথি চৌধুরীসহ কয়েকজকে সাংগঠনিক কার্যক্রমে দেখা গেলেও কমিটির অন্যান্য নেতারা নিস্ক্রিয় ও ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভা যুবলীগের উদ্যোগে করোনাকালে মানুষের পাশে থাকলেও জেলা কমিটির কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। আবার জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের মধ্যে রয়েছে সমন্বয়হীনতা। দক্ষিণ জেলা যুবলীগ শুধুমাত্র বোয়ালখালী উপজেলা, কর্নফুলী এবং পটিয়া পৌরসভা ছাড়া আর কোথাও পুর্নাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি। আর সবগুলো কেন্দ্র থেকে আহবায়ক কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। সম্মেলন ছাড়া আহবায়ক কমিটি গঠন করায় মুল্যায়ন হয়নি দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের। দলের দু:সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রনী ভুমিকা রাখা এবং বিএনপি জামাতের সময় মিথ্যা মামলায় হয়রানী হওয়া নেতাকর্মূীদের যুবলীগের পদ-পদবীতে না রাখায় হতাশা বিরাজ করছে তাদের মধ্যে। নতুন কমিটির প্রত্যাশায় থেকে অনেকের মধ্যে এসেছে হতাশা।
অভিযোগ রয়েছে, আহবায়ক কমিটিগুলো গঠিত হয়েছে এলাকার সংসদ সদস্য ও জেলার সিনিয়র নেতাদের অনুগত লোকজনকে নিয়ে। যেখানে ঢুকে পড়েছে অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাবাধীরা।