ইরফানের সহকারী দীপু টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ  ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানের ব্যক্তিগত সহকারী এবি সিদ্দিক দীপুকে (৪৫) টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

সোমবার গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত দিপু টাঙ্গাইল শহরের আকুর টাকুর পাড়ার শ্রমিক নেতা মরহুম ভোলা মিয়ার বড় ছেলে। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি দেশের বাইরে চলে যান। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার পর ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলে তিনি দেশে ফিরে এসে টাঙ্গাইল শহরের ভিক্টোরিয়া রোডে ট্রাভেল এজেন্সী খোলেন। ট্রাভেল এজে

আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক গণমাধ্যমকে জানান, এ বি সিদ্দিক ওরফে দীপুকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার থেকে এমপি হাজী সেলিমের ছেলে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ইরফানের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। ৮তলা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে অভিযান চলে। ইরফানের বাসা থেকে বেশ কিছু অবৈধ জিনিস উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ছিল একটি আগ্নেয়াস্ত্র, যেটা অবৈধ। সেটির কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। এছাড়া ৫-৬ লিটার মদ ও ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পাওয়া যায় বেশ কিছু বিয়ারের ক্যান।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় মামলায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে ইরফানকে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে এক বছর ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ডাদেশ দেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। আর জাহিদুলকে অবৈধ ওয়াকিটকি বহনের দায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও ২৬ অক্টোবর ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াসিফ।

মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- ইরফান সেলিম, এ বি সিদ্দিক দীপু, জাহিদ, মীজানুর রহমান ও অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজন।

মামলায় বলা হয়, ইরফানের গাড়ি ওয়াসিমকে ধাক্কা মারার পর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে দাঁড়ান। নিজের পরিচয় দেন। এরপরই গাড়ি থেকে কয়েকজন বের হয়ে ওয়াসিমকে কিলঘুষি মারেন এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা মারধর করে ওয়াসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান।

পরে তার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডির ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.