সেলিম পুত্র ইরফান কাণ্ডঃ এটাই নিয়তি
জুবায়ের সিদ্দিকী, সিটি নিউজঃ এমনটা হওয়ার কথাই ছিল। এতে আশ্চর্য্য হওয়ার কিছুই নেই। ভাবনারও কিছু নেই। পাপের বোঝা যখন ভারি হয় তথন নেমে আসে গজব। তখন সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। হাজী সেলিমের দ্বিতীয়পুত্র ইরফান সেলিমের বিষয়েও এমনটা ঘটেছে। এটাই নিয়তি। দেশের সর্বত্র একই আলোচনা। ইরফান সেলিম ইস্যু। মো. ওয়াসিমের রক্তাক্ত অসহায় কান্না শুধু যে তার তা নয়। এ কান্না বাংলাদেশের। ওয়াসিম নিজেও কেঁদেঁছেন। গোটা দেশকে কাঁদিয়েছেন।
একজন সংসদ সদস্যের গাড়ী কি অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারেন? না, পারেন না। লালবাগের মানুষ জোরে শ্বাস নিতে পারতেননা। দখল বাণিজ্যে কত মানুষ যে নিঃস্ব হয়েছেন এর ইয়ত্তা নেই। হাজারো পরিবারের সংসার ও হৃদয় ভেঙ্গেছেন এই হাজীর পরিবার।
তাদের অব্যক্ত কান্না কেউ শুনেনি। কিন্তু উপরওয়ালা একজন আছেন। তিনি ঠিকই শুনেছেন। ইসলামপুরের এক ব্যাপারী বললেন, ইসলামপুরে জায়গা দখল করে গুলশান আরা সিটি বানায় তখন সেখানকার মালিকদের জোর করে উচ্ছেদ করে। তাদের কান্নায় তখন আকাশের আরশ কেঁদে উঠেছিল। জমিহারা পরিবারগুলোর চোখ দিয়ে পানি নয়, রক্ত ঝরেছিল সেদিন। কেউ এগিয়ে আসেনি তাদের পক্ষে। ইরফানের টর্চার সেলে কত মানুষের রক্তের দাগ লেগে আছে ইরফানই জানে।
একজন লেঃ ওয়াসিম না হয়ে অন্য কেউ যদি হতো তাহলে সেদিনই তার জীবনের শেষ দিন হতো। ইরফান আন্ডাগ্রাউন্ডে কি করতো তা আজ পরিস্কার। আজ কড়ায় গন্ডায় মাসুল দিতে হচ্ছে। ইরফাননেরা সমাজের একেকটা কীট। এরা একটি ডাস্টবিন। এই ডাষ্টবিন আইনের মাধ্যমেই্ উপড়ে ফেলা জরুরী।