ওসি প্রদীপের পদোন্নতিতে জালিয়াতি

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ কক্সবাজার জেলার টেকনাফে চাঞ্চল্যকর মেজর (অবঃ) সিনহা হত্যা মামলায় বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাসে পদোন্নতিতেও জালিয়াতি ধরা পড়েছে। মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামী হয়ে এখন কারাগারে। আদালতের আদেশ অমান্য করে পেয়েছেন পদোন্নতি। বিএনপি-জামাত সরকারের আমলে হাইকোর্টের রায় গোপন করে এসআই থেকে হন ইন্সপেক্টর। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাত থেকে নিয়েছেন মেডেলও।

এটর্নি জেনারেল বলছেন, তার এই পদোন্নতি অবৈধ। এর পেছনের মদদদাতাদের খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। আদালতের আদেশ অমান্যকারী আদালত অবমাননা করেছেন এবং এর শাস্তি হওয়া উচিৎ।

দায়িত্বে থাকার সময় তার বিরুদ্ধে মানুষ খুনসহ নানা অভিযোগ উঠে আসে। সব শেষ সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা হত্যা মামলার আসামী হিসাবে এই প্রদীপ এখন জেলে। সময়ের আলোচিত-সমালোচিত বহিস্কৃত পুলিশ কর্মকর্তা।

জানা গেছে, ২০০১ সালে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার এসআই ছিলেন প্রদীপ। সেসময় তিনি একটি মাদক মামলার আইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই মামলা তদন্তে নানা অনিয়ম প্রমানিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেই সাথে তিন বছর কোন মামলায় তদন্ত করতে পারবেন না প্রদীপ এমন তিনটি আদেশ দেন কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রদীপ হাইকোর্টে আপিল করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগিয় ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ বহাল রেখে মামলা তদন্তের বিষয়টি থেকে তাকে অব্যাহতি দেন।

এর মধ্যেই তৎকালিন বিএনপি – জামাত জোট সরকারের সময় হাইকোর্টের রায় গোপন করে পদোন্নতি পান প্রদীপ। এসআই থেকে হন ইন্সপেক্টর।

জানা গেছে, ২০০৮ সালে বিষয়টি কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতকে অবহিত করা হয়। ২০১০ সালে আদালত আদেশ দেন হাইকোর্টের দেওয়া রায় কার্যকর না করা, তথ্য গোপন রেখে পদোন্নতি দেওয়া এবং হাইকোর্টের সম্মান রক্ষার্থে কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তার কারন দর্শানো হয়।

গত ২ নভেম্বর হাইকোর্টের নির্দেশনা না মেনে ওসি প্রদীপকে পদোন্নতি দেওয়া কেন আদালত অবমাননার শামিল নয়- তা জানতে চেয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইজিপিসহ চারজনের কাছে নোটিশ পাঠান আইনজীবী জুলফিকার আলী জুনু। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়। অন্যথায় হাইকোর্টে রিট করা হবে বলেও জানান এ আইনজীবী।

নোটিশে আইনজীবী বলেন, ২০০১ সালে পেশাগত অসদাচরণের দায়ে টেকনাফ থানার তৎকালীন এসআই প্রদীপ কুমার দাশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এসময় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়। এ নিয়ে হাইকোর্টে একটি রিটও হয়। কিন্তু সেটা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই প্রদীপকে পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.