বন্দরের আয় থেকে ১ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দাবি প্রশাসকের

0

সিটি নিউজঃ চট্টগ্রাম বন্দরের বাৎসরিক আয় থেকে চসিককে ১ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ পরিশোধের দাবি জানান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন। সদরঘাট থেকে কাপ্তাই ও কাপ্তাই থেকে রাঙামাটি পর্যন্ত নৌ রুটে সী-বাস চালু করার আহ্বান জানান। এছাড়াও সদরঘাট থেকে বিমানবন্দর সংলগ্ন ১৫নং ঘাট পর্যন্ত সূলভ ভাড়ায় সী-বাস সার্ভিস চালুকরণ প্রসঙ্গে ইতোপূর্বে যে তিনটি পৃথক চাহিদাপত্র চসিক প্রদান করে ছিলেন তার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

আজ সোমবার (৯ অক্টোবর) ঢাকায় সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী’র সাথে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাত করেন। এই সময় তিনি চসিক প্রশাসকের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বলেন, চাহিদা পত্রে উল্লেখিত প্রস্তাবনা ও দাবী জনস্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিষয়গুলো মন্ত্রণালয় আমলে এনেছে এবং গুরুত্ব বিবেচনায় এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় সাধন করে পর্যায়ক্রমে যথাযথ উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নেয়া হবে।

প্রশাসক জানান চট্টগ্রাম নগরীর টেকসই সড়ক অবকাঠামো ব্যবস্থাপনার উপরই নিভরশীল বন্দরের আমদানী ও রপ্তানী পণ্য পরিবহনের বিষয়টি। বন্দরমুখী ভারীযান গুলোর মাত্রাতিরিক্ত চাপের ফলে সড়কগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে বন্দরের সক্ষমতায় বিরুপ প্রভাব ও সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে জনদুর্ভোগ অসহনীয় পর্যায়ে ঠেকেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে বে-টার্মিনাল এবং মহেষখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর হলেও সড়ক ও স্ট্রাকচারাল সক্ষমতা না থাকলে বন্দরের সক্ষমতার ক্ষেত্রে বড় ধরণের ঘাটতি থেকে যাবে। তাই বন্দরের বাৎসরিক আয় থেকে ১ শতাংশ হারে চসিককে পরিশোধ করা হলে আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নের কর্মকান্ড চলমান রাখা সম্ভব হবে। এতে সাধারণ মানুষ ও পণ্য পরিবহন সহজ, নিশ্চিত ও নিরাপদ হবে এবং এর সুফল হিসেবে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করনে প্রশাসক।

চাহিদাপত্রে সদরঘাট থেকে বিমান বন্দর সংলগ্ন ১৫নং ঘাট পর্যন্ত সী-বাস চালু ও এর সূলভ মূল্যে ভাড়া নির্ধারণ প্রসঙ্গে বলেন, এতে নগরীতে যানজট নিরসন কিছুটা হলেও সম্ভব হচ্ছে। বিশেষ করে বিমান বন্দর ব্যবহারকারী যাত্রীদের জন্য বেশ স্বস্থিদায়ক তবে জনপ্রতি ৪০০ টাকা করে ভাড়া নির্ধারণ করাটা সবার জন্য সক্ষমতার বাইরে। সূলভ মূল্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন বিআইডব্লিউবিসি বা বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একই জেটি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের জন্য সী-সার্ভিস চালু হলে এয়ারপোর্ট রোডে চলাচলে যানজট থেকে নগরবাসী রেহাই পাবে।

তবে সদরঘাট থেকে ফিরিঙ্গিবাজার পর্যন্ত রোডটি সংযোগ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ভারী যানবাহন সদরঘাট কর্ণফুলী সেতু হয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফ পর্যন্ত সরাসরি চলাচল করতে পারছে না। তাই সদরঘাট থেকে ফিরিঙ্গিবাজার পর্যন্ত অংশটি দ্রুত সম্পন্ন করে মেরিন রোডের সাথে যুক্ত হলে পুরো নগরী যানজট মুক্ত হবে এবং দূরপাল্লার সড়ক যোগাযোগ সহজতর হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.