এএসপির মৃত্যুঃ ডিএমপি বলছে এটা ‘হত্যাকাণ্ড’

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ এএসপি আনিসুল করিমের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘সুস্পষ্ট হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে দাবি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদসংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় সরাসরি সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ৮-৯ জন লোক মিলে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করছেন। কেউ মাথায়, কেউ বুকে আঘাত করেছেন। কাউকে আবার এএসপি আনিসুল করিমের হাত বাঁধতে দেখা গেছে। তারা সবাই হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়, ক্লিনার, এখানে কেউ চিকিৎসক ছিলেন না। তাই আমাদের কাছে মনে হয়েছে এটি স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড।

এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং সিসিটিভি ফুটেজে উপস্থিত ১০ জনের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

ডিসি বলেন, এএসপি আনিসুলকে তো আর ফিরিয়ে আনতে পারবো না। তবে এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি আরো বলেন, এএসপি আনিসুল বরিশালে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে তিনি বেশ চুপচাপ থাকছেন লক্ষ্য করে পরিবারের সদস্যরা তাকে শ্যামলীতে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। কিন্তু কি এমন ঘটনা ঘটলো কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলো? তাকে ভুইফোঁড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মাঝখানে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের বিষয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। সরকারি হাসপাতালের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য বেরিয়ে আসবে।

মাইন্ড এইড হাসপাতালটিতে মানসিক চিকিৎসা দেওয়ার কথা বললেও তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো বৈধ কাজগপত্র দেখাতে পারেননি। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোনো অনুমতি নেই তাদের। কোনো চিকিৎসক ছাড়াই ভুইফোঁড় এ হাসপাতালটি পরিচালনা করা হচ্ছিলো। হাসপাতালটির পরিচালনা পর্ষদের কেউ ডাক্তার নন।

হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদসহ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মাইন্ড এইডের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, কো অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন সেফ মাসুদ, ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, লিটন আহাম্মদ, সাইফুল ইসলাম পলাশ ও ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.