আ. লীগে কোন্দল সৃস্টিকারীদের জন্য রেড সিগন্যাল

0

জুবায়ের সিদ্দিকী, সিটি নিউজঃ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। দলের তৃণমূলে স্বেচ্ছাচারী ও কোন্দল সৃষ্টিকারী নেতাদের আর কোনো ছাড় দেবে না ক্ষমতাসীন দলটি। যেখানেই সাংগঠনিক স্থবিরতা, নেতাদের দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারী ও দলীয় কোন্দল সেখানেই কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি সভাপতিমণ্ডলী ও কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তৃণমূলের উদ্দেশে এমন কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন স্বয়ং আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তারই ধারাবাহিকতায় চারদিনের ব্যবধানে দুটি গুরুত্বপুর্ণ ইউনিট নরসিংদী ও সিরাজগঞ্জ জেলার সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দিয়েছে দলটি। মাঠের জরিপ অনুযায়ী, এ তালিকায় থাকা আরো কয়েকটি জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেয়া হতে পারে। আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকরা বলছেন, যেখানেই সাংগঠনিক স্থবিরতা। সংগঠনের আদর্শবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আসবে, সেখানেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নানা অভিযোগে গতকাল রবিবার নিজ নিজ পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত এমপিকে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার অব্যাহতি দেয়া হয় নরসিংদী জেলার সভাপতি নজরুল ইসলাম হীরু ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন ভূঁইয়াকে।

এসব বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, কোনো জেলায় কেউই দলের জন্য অপরিহার্য নয়। সভাপতিমণ্ডলী ও কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোনো জেলার সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদককে কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাদের দু’জনকেই অব্যাহতি দেয়া হবে। সব সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য।

তিনি বলেন, যেসব জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা পড়েছে। সেসব কমিটির অনিয়ম বা অসংগতি যদি জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ঐকমত্যভাবে সমাধান করতে না পারেন। নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকেন সে ক্ষেত্রে দুজনকেই অব্যাহতি দেয়া হবে। কেননা, আওয়ামী লীগ বড় দল। এ দলে যোগ্য নেতা ও কর্মীর অভাব নেই। কেউ যদি নিজেকে দলের জন্য অপরিহার্য মনে করে, তাহলে সেটা তার ভুল ধারণা।

সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, যেখানেই সাংগঠনিক স্থবিরতা আসবে অথবা সংগঠনের আদর্শবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকবে সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের একটা মাঠের সার্ভে জরিপ আছে। সভাপতিমণ্ডলীর সভায় নেত্রী সেই জরিপ আমাদের হাতে দিয়েছেন। যারা দলের নাম ব্যবহার করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। যারা জনহিতকর কাজের বদলে জনগণকে ক্ষিপ্ত করছে। যাদের আচার-আচরণে মানুষ সন্তুষ্ট না। যারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর।

প্রত্যেক জেলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের জন্য কোন্দল সৃস্টিকারীদের প্রতি এটা দলের রেড সিগন্যাল।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.