চট্টগ্রাম বন্দরে স্ক্র্যাপের বদলে আসলো ১১৫ টন কনক্রিট ব্লক

0

সিটি নিউজঃ চট্টগ্রাম বন্দরে ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপ ঘোষণায় এসেছে ২০টি কনটেইনারে ১১৫ টন কনক্রিট ব্লক। কুমিল্লার সাকুরা স্টিল লিমিটেডের নামে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এ চালান এসেছে।

এর মাধ্যমে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা পাচারের প্রচেষ্টা কিংবা রফতানিকারক বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতারণা করেছে কিনা খতিয়ে দেখতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ ওই চালানের ২০টি কনটেইনার আটক করেছে।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১টায় বেসরকারি অফডক প্রতিষ্ঠান সিসিটিসিএল ডিপো থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম।

কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা বুড়িচংয়ের ময়নামতি বাজারের সিন্দুরিয়া পাড়ার ঠিকানার সাকুরা স্টিল লিমিটেডের নামে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপ আমদানির জন্য রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের দিলকুশা শাখায় একটি আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়। এলসিতে পণ্যের মূল্য ধরা হয় ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৪ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

এলসির আওতায় গত ২১ এপ্রিল দুবাইয়ের জেবেল আলি বন্দর থেকে এমভি স্মাইলি লেডি জাহাজ যোগে ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে স্ক্র্যাপ ঘোষণায় ২০টি কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। শিল্পের কাঁচামাল হওয়ায় দ্রুত খালাসের লক্ষ্যে কনটেইনারগুলো সিসিটিসিএল ডিপোতে (বেসরকারি অফডক) পাঠানো হয়।

পণ্য খালাসের লক্ষ্যে আমদানিকারক দীর্ঘদিন কোনো ব্যবস্থা নেননি। কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষের কাছেও কোনো ডকুমেন্ট দাখিল করেননি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম কনটেইনারগুলো পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়। কনটেইনার খুলে ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপের পরিবর্তে বাণিজ্যিকভাবে মূল্যহীন কিংবা স্বল্পমূল্যের ১১৫ টন কনক্রিট ব্লক পাওয়া যায়।

রেজাউল করিম জানান, এ চালানে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা পাচারের প্রচেষ্টা ছিল কিনা অথবা রফতানিকারক এ দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতারণা করেছে কিনা তা অনুসন্ধান করবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এন্টি মানিলন্ডারিং ইউনিট।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.