চট্টগ্রামের পৌরসভা নির্বাচনঃ আওমী লীগে প্রার্থীর ছড়াছড়ি

0

জুবায়ের সিদ্দিকী/দিলীপ তালুকদারঃ নির্বাচন কমিশন দেশের পৌরসভাগুলোর নির্বচানের তফশীল ঘোষণা করে ধাপে ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মধ্যে দেশের ২৫ টি পৌরসভার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের পৌরসভাগুলো বেশ সরব হয়ে উঠেছে। পৌরসভাগুলোতে নির্বচানের সিডিউল ঘোষণার আগে থেকেই সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌর এলাকা। পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ছড়াছড়ি। আর বিএনপির প্রার্থীর সংখ্যা হাতে গোনা। তবে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা যেভাবে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছে সেভাবে বিএনপির প্রার্থীদের চোখে পড়ছেনা। তারা একপ্রকার মাঠে নেই বললেই চলে। চট্টগ্রামের পৌরসভাগুলোর মধ্যে একমাত্র সীতাকুণ্ড পৌরসভার নির্বাচন হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর। অন্যান্য পৌরসভায়ও সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী নিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে রীতিমত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।

জানা যায়, সীতাকুণ্ড পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীর সংখ্যা ১৬ জন ছাড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপি থেকে শোনা যাচ্ছে ৪ জনের নামে। তবে বিএনপির প্রার্থীরা এখনো তাকিয়ে আছে কেন্দ্রের দিকে। কেন্দ্র থেকে গ্রীণ সিগন্যাল পেলেই তারা মাঠে নামবে।

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সংখ্যা ৫ জন। বিএনপির মেয়র প্রার্থীর সংখ্যা ৪ জন এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সংখ্যা ১ জন। সীতাকুণ্ড ও পটিয়ার পাশাপাশি চট্টগ্রামের অন্যান্য পৌরসভায় আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তবে প্রতিটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে গ্রুপিংও।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে প্রতিটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে। এটা যদি আগে থেকেই সামাল দেয়া না যায় তাহলে হিতে বিপরীত হবে বলেও অভিজ্ঞমহল মনে করছেন। এদিকে বিএনপির সংশ্লিষ্ট মেয়র প্রার্থীরা ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও প্রকাশ্যে মাঠে নেই। কেন্দ্র থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেলেই মাঠে নামবেন বলে জানিয়েছেন পৌরসভাগুলোর বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা।

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, ২৮ ডিসেম্বর থেকে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দফায় ২৮ ডিসেম্বর সীতাকুণ্ড পৌরসভায় নির্বাচন হবে। দ্বিতীয় দফার তফসিলে অন্য পৌরসভাগুলোতে নির্বাচন হবে। পৌরসভা নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।

চট্টগ্রামের পৌরসভাগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীদের সংখ্যা বিচারে জানা যায়, পটিয়া পৌরসভায় বর্তমান মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদসহ ৫ জন নির্বাচন করতে চান। বিএনপি থেকে মেয়র পদে নির্বাচন করতে চান ৩ জন। বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগের ১০ জন এবং বিএনপির ৪ জন। রাউজানে আওয়ামী লীগ থেকে ৪ জন মেয়র প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। বিএনপি থেকে এখনো কারো নাম শোনা যায়নি। রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামী লীগের ৬ জন, বিএনপির ২ জন। সন্দ্বীপে আওয়ামী লীগের ৭ জন, বিএনপির ৩ জন। চন্দনাইশে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সংখ্যা ৬ জন, বিএনপির ৩ জন, এলডিপির ৩ জন, ইসলামী ফ্রান্টের ৩ জন ও জাতীয় পার্টির ১ জনের নাম শোনা যাচ্ছে। সাতকানিয়ায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সংখ্যা ৬ জন, বিএনপির ৪ জন। মীরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ৫ জন, বিএনপির ৩ জন; বারৈয়ারহাটে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সংখ্যা ৫ জন ও বিএনপির ৪ জনের নাম শোনা যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, পৌরসভাগুলোর ২য় ধাপে পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, সন্দ্বীপ, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, মীরসরাই ও বারৈয়ারহাট পৌরসভায় নির্বাচন হবে। অবশিষ্ট পাঁচ পৌরসভার মধ্যে ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়াদ পূর্ণ হবে ২০২২ সালে। নাজিরহাট পৌরসভার মেয়াদ পূর্ণ হবে ২০২৩ সালে। বোয়ালখালী পৌরসভায় ২০১৯ সালে মেয়াদ পূর্ণ হলেও মামলার কারণে এখনো পর্যন্ত নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি।

হাটহাজারীতে সীমানা বিরোধ নিয়ে মামলার কারণে নির্বাচন হচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া নবগঠিত দোহাজারী পৌরসভায় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ হয়নি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.