চমেক হাসপাতালে দুদকের সার্জারী অপারেশন
শারমীন শায়লাঃ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪টি প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর ধরে টেন্ডার কারিশমা করে আসছিল। মোটা অংকের টাকা লেনদেন হয় এসব কাজে। ভাগ যায় হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে নেতাদের পকেটে।
১৯৮৫ সাল থেকে অদ্যাবধি সরকারী হাসপাতালে অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য খুজতে দুদকের অনুসন্ধান চলছে। বের হয়ে আসছে থলের বিড়াল। একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলছে চমেক হাসপাতাল।
সরকারের পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সরকারী এই হাসপাতালকে এক প্রকার জিম্মি করে ফেলেছে। এসব অনিয়ম-দুর্নীতি ধরতে গেলে তারা চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়ে হাসপাতালে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। রোগীদের সেবা বন্ধ করে দেয়।
এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছে তারা। সরকারী সম্পদ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখায় কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
সাম্প্রতিক সময়ে চমেক হাসতালের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয় তদন্ত করছে দুদক। হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট ৪টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ২৯ লাখ ৪৭ হাজার ৬৯৬ টাকা জব্ধ করেছে দুদক। এখন চমেক হাসপাতালে চলছে দুদকের সার্জারী অপারেশন।