১৫৯ জন করোনা রোগীর সেবায় ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা

0

সিটি নিউজঃ কোভিড-১৯ মোকাবিলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্মিত আইসোলেশন সেন্টার নিয়ে অনিয়মের তদন্ত করতে চসিক ভবনে সারাদিন টাইগারপাসস্থ সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু সায়েদের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি দল চসিকের আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণ নিয়ে অনিয়মের তদন্ত করেন। তবে এসব বিষয় নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাজী মোজাম্মেল হক।

দুদক সূত্র জানায়, হটলাইন নম্বরে অভিযোগ পেয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) হানা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল।

তদন্তের বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক আবু সায়েদ জানান, দুদকের নির্ধারিত হটলাইন নম্বরে সিটি করপোরেশনের আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণে কেনাকেটায় অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারই সূত্র ধরে করপোরেশনে তদন্ত করতে যায় দুদক দল। কেনাকেটায় যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। একইসাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে করোনার প্রাদুর্ভাব ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় তৎকালীন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আগ্রাবাদের সিটি কনভেনশন হলে কোভিড আইসোলেশন সেন্টারটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২১ জুন থেকে চালু হওয়া এই আইসোলেশন সেন্টারে ১০ আগস্ট পর্যন্ত মৃদু উপসর্গধারী ১২৯ করোনা রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। এর বাইরেও সেখানে আউটডোরে ৩০ জন রোগীকে ব্যবস্থাপত্র দেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা। আইসোলেশন সেন্টারটিতে ১৬ চিকিৎসকসহ ৯৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে রোগীদের জন্য কাগজে-কলমে ১ কোটি ২৭ লাখ ৬ হাজার ৪৪৭ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে।

সূত্র জানায় এছাড়াও প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল কেনা হয়েছে বলে হিসেবে দেখানো হয়। তবে চসিক প্রশাসক হিসেবে খোরশেদ আলম সুজন দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৯ আগস্ট আইসোলেশন সেন্টারটির অনিয়ম খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয় অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। প্রতিবেদনে কেনাকাটায় অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে। এ তদন্ত প্রতিবেদনে ১৭টি পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট খরচের মধ্যে মালামাল ক্রয়ে ৭১ লাখ ৭১ হাজার ৪০০ টাকা, মাস্ক কেনায় ৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা, স্মার্ট সু-বক্স কেনায় ৩ লাখ ৭ হাজার ২৫০ টাকা, রিনোভেশনে ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৯৯৯ টাকা, এসি ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫৩ টাকা, ওষুধ বাবদ ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫০ টাকা; টেলিভিশন, ইন্টারনেট সংযোগ ও সাউন্ড সিস্টেম বাবদ ৭ লাখ ২২ হাজার ৩০০ টাকা এবং খাবার, আবাসন, স্টেশনারি মালামাল ক্রয়ে খরচ দেখানো হয়েছে ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৯৯৫ টাকা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.