শীতার্ত মানুষ ও গরীবের কান্না

0

জুবায়ের সিদ্দিকী/দিলীপ তালুকদারঃ নগরীতে শীতে অসহায় মানুসের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে দেখা য়ায় অনেককে। তবে ব্যতিক্রম হচ্ছে মফস্বলে এই চিত্র খুব কম দেখা যায়। শহরে কেবল মিডিয়া কভারেজ কিংবা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে যদি এই সাহায্য হয় তাহলে তা সমাজে কখনো সুফল বয়ে আনবে না।

সাহায্য, সহযোগীতা, ত্রাণ বিতরণ, শীতার্তদের কাপড় বিতরণ হতে হবে নিঃস্বার্থ, সৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ। শীতার্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসার কথা রাস্ট্রের। এগিয়ে আসতে হবে বিত্তশালী ও সামর্থ্যবানদের। নগরীতে ছিন্নমূল মানুষ ও পথ শিশুদের শীতের প্রকোপে নিদারুণ কষ্টে মানবেতর জীবন অতিবাহিত করতে হয়।

করোনার কারনে দেশে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। যে কারনে ছন্দপতনের কারনে খেটে খাওয়া মানুষের কাজের সুযোগ ও সক্ষমতা কমে আসছে। শীত নিবারণের সামান্য কাপড় ও দুর্যোগকালে খাবারের অভাবে কষ্ট পায় অসংখ্য মানুষ।

আমাদের মানিবিক মূল্যবোধও এখন আগের মত নেই। যান্ত্রিক জীবনে সাধারণ মাুষের পাশে স্বার্থপর, সুযোগসন্ধানী ও ফটোসেশনকারীরাই বেশী উপস্থিত থেকে সমাজকে জানান দেয়, এই সমাজটা স্বার্থপর? গরীবের কান্না কেউ শুনে না। গরীবের কান্না এই সমাজে গুমরে মরে।

নগরীর বিত্তবানদের কাছে শীতার্ত মানুষের নীরব কান্না গিয়ে পৌঁছায়না। এবার করোনার কারনে শীতার্ত মানুষের দুঃখ কষ্ট লাগবে সরকারেরও এগিয়ে আসা উচিত। আমাদের কাছে মানবিক মূলবোধ যেখানে বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে সেখানে মানবিক সেবায় আমাদের সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার দায়িত্ব সমাজের সকলের।

ঘুনেধরা এই সমাজে ধনবান ব্যক্তিদের অভাব নেই। কিন্তু সেভাবে তাদের সাহায্য সহায়তা চোখে পড়ার মতো নয়। সরকার ও সমাজ জানে, কারোনার কারনে এবার শীতার্ত মানুষের দুঃখ কষ্ট আরো বাড়বে।

সে হিসেবে আগাম সরকারকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী। ছিন্নমূল মানুষের পাশে মানুষ দাঁড়াবে এই প্রত্যাশা আমাদের।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.