সাতকানিয়ায় চাঞ্চল্যকর চেয়ারম্যান আমজাদ হত্যায় ১০ জনের ফাঁসি

0

সিটি নিউজঃ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দীর্ঘ ২২ বছর আগে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর আমজাদ হোসেন চেয়ারম্যান হত্যা মামলায় ১০ আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে আরও পাঁচ আসামির। বেকসুর খালাস দেয়া হয় চারজনকে।

আজ রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম মোজাম্মেল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- ইমতিয়াজ ওরফে ঠোঁট কাটা মানিক, সাতকানিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান নেজাম উদ্দিন চৌধুরী, জাহেদ, আবু মোহাম্মদ রাশেদ, তারেক, ফরোখ আহামদ, বশির আহমদ, জিল্লুর রহমান, মো. রফিক ও জসিম উদ্দিন। এছাড়া আরও ৫ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।। এদের বাড়ি সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া এলাকায়। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- রফিক, মোর্শেদ, হারুন, আয়ুব ও ইদ্রিস। খালাস পেয়েছেন- আবু তাহের, আবদুল মালেক, খায়ের আহমেদ, মোস্তাক আহমেদ। আসামিদের মধ্যে নয়জন পলাতক রয়েছে।

আমজাদ হোসেনের স্ত্রী ও মামলার বাদী সৈয়দা রওশন আক্তার বলেন, স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে ২১ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পেয়ে আমি আনন্দিত। আমি আর কিছু চাই না।

১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর সাতকানিয়া মির্জারখিল দরবার শরিফের সামনে সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

আমজাদ হোসেন স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার কামাল বলেন, সাতকানিয়া উপজেলার ১৭ নম্বর সোনাকানিয়া ইউনিয়নের দুইবারের চেয়ারম্যান ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন। তিনি ইউনিয়নের অপরাধনির্মূল ও সন্ত্রাসদমনে প্রতিবাদী ভূমিকা রাখার ফলে দুর্বৃত্তদের টার্গেটে পরিণত হন।

সারওয়ার কামাল বলেন, ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর রাতে মির্জারখিল দরবার শরিফে ওরশ চলাকালীন দরবার শরিফের উত্তর গেট সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে আমজাদ হোসেনকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রওশন আকতার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে সাতকানিয়া থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে সিআইডি পুলিশের হাতে তদন্তের ভার ন্যস্ত হয়।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডি পুলিশ ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর এ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। চলতি বছরের ১১ নভেম্বর এই মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়। ওই দিনই ১০ আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় মোট ২০ আসামির মধ্যে এক নম্বর আসামি মারা গেছেন। বাকিদের মধ্যে ১০ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন এবং ৪ জন খালাস পেলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.