ফটিকছড়িতে মাদ্রাসায় হামলার নেপথ্যে

0

ফটিকছড়ি প্রতিনিধিঃ ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার পশ্চিম নানুপুর দারুচছালাম ঈদগাহ মাদাসার ছাত্রদের উপর স্থানীয় হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  মূলত মাদ্রাসা থেকে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে জনৈক যুবলীগ হাসানের নেতৃত্বে মাদরাসায় ছাত্রদের ওপর অতর্কিত হামলা ও ভাঙ্গচুর চালায়।  এতে বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।  অভিযোগ রয়েছে, তারা মাদরাসা থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় এ সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়।  হামলার নেপথ্যে রয়েছে মাদ্রাসা থেকে চাঁদাবাজি।

সোমবার বিকেলে ফটিকছড়ির মাইজভান্ডারস্থ মান্নানীয়ার পশ্চিম নানুপুর দারুচচ্ছালাম ঈদগাহ মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন, উপজেলা ইউএনও সায়েদুল আরেফিন, উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মো.আবু তৈয়ব, ফটিকছড়ি ওসি রবিউল হোসেন।

পুলিশের কাছে ছাত্ররা জানান, স্থানীয় যুবলীগ নেতা হাসানের নেতৃত্বে মাদরাসায় হামলা চালানো হয়। ট্রাক নিয়ে এসে মাদরাসার মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগও করেছেন তারা। স্থানীয় লোকজন জানান, আমরা হঠাৎ গুলির আওয়াজ শুনি। তারপরই দেখি একজনের বুকে গুলি লেগে মাঠিতে পড়ে আছে।

স্থানীয় রুহুল আমিন বলেন, হুজুুর থেকে চাঁদা চেয়েছেন হাসানের লোকজন।  হুজুর টাকা দিতে অস্বীকার করায় ট্রাক এনে মাদরাসার মালামাল ট্রাকে তুলে নিয়ে যেতে লাগলে মাদরাসার ছাত্ররা বাধা দিলে তাদের মারধর করে।  এরপর গুলির আওয়াজ শুনি।  কয়েকজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখি।  প্রায় ছয় সাত জনের মত গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও জানান রুহুল আমিন।গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা জানাতে চাইলে এলাকার সাইফুর রহমান জানান, পাঠান পাড়ার হাসান, মাদরাসা থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।  চাঁদা না দেয়ায় এ হামলা করা হয়। গুলিবিদ্ধ একজনের অবস্থা আশঙ্কজনক বলেও জানান তিনি।

এদিকে এঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, হেফাজতে ইসলাম এর আমীর আল্লামা বাবু নগরী।  মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বাবুনগরী বলেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠী দারুচ্ছালাম ঈদগাহ মাদ্রাসার নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর চালিয়ে এবং তৌহিদি জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করে ফটিকছড়ির শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। এভাবে দিনদুপুরে তৌহিদি জনতার ওপর গুলিবর্ষণ ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত করার ঘটনা চরম উদ্বেগজনক।

অনতিবিলম্বে এই সন্ত্রাসী হামলার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আরও বলেন, কওমী মাদ্রাসা দ্বীন রক্ষার মজবুত দুর্গ। দ্বীন ইসলামের সংরক্ষণে কওমী মাদ্রাসা ও ওলামায়ে কওমীয়ার অবদান অনস্বীকার্য। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কওমী মাদ্রাসা অনেক অবদান রয়েছে। যারা কওমী মাদ্রাসায় হামলা করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায় এদেশের তৌহিদি জনতা তাদের কালো হাত ভেঙে দেবে। এদেশের জনগণ মাদ্রাসা প্রিয়, আলেম প্রিয়।

 

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.