বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিলঃ চুয়েট ভিসি

0

সি টি নিউজঃ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

রবিবার (১০ জানুয়ারি ) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও মুজিববর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি উপস্থিত ছিলেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

চুয়েটে মুজিব বর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রণজিৎ কুমার সূত্রধরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলম, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদ, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।

বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, প্রভোস্টগণের পক্ষে শামসেন নাহার খান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম, স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব মো. জামাল উদ্দিন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী জনাব মো. মকবুল হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস বাঙালির স্বাধীনতার ইতিহাসের ঐতিহাসিক দিন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল। সেদিন দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তরে কিছু স্বার্থান্বেষী বিপদগামী গোষ্ঠীর হাতে বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে শাহাদাত বরণ না করলে আজকের বাংলাদেশ অন্যরকম হতে পারতো। বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত স্বপ্ন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন।” চুয়েট ভিসি আরো বলেন, “একটি দেশের উন্নয়নের মূল শক্তি কানেক্টিভিটি। বর্তমানে আমাদের দেশের কানেক্টিভিটি সর্বোচ্চভাবে এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ এখন দ্রুত বর্ধমান উন্নয়নের রোল মডেল।”

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ নিয়ে একটি প্রমাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। এছাড়া দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এবং স্টাফ ওয়েলফেয়ারের ব্যবস্থাপনায় শিশু-কিশোরদের নিয়ে অনলাইনে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

সি টি নিউজ/ ডিটি

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.