পটিয়ায় মেয়র পদে আ’লীগ-জাপা-বিএনপি নেতাদের মনোনয়ন লড়াই

0

সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধিঃ চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষনায় চট্রগ্রামের পটিয়ায় পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসার আতাউর রহমান জানান। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র জমাদানের শেষ তারিখ ১৭ জানুয়ারি, বাছাই ১৯ জানুয়ারি ও মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ জানুয়ারি। তফসিল ঘোষনার পরেই আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ জাতীয় পার্টির মেয়র পদে শুরু হয়েছে দলীয় মনোনয়ন পেতেই নেতাদের লড়াই। পটিয়ায় পৌরসভায় প্রথম বারের মতো ভোট হবে (ইভিএমের) মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। পৌর নির্বাচনে এবার কে নৌকার মাঝির মনোনয়ন পাচ্ছে তা এখন দেখার বিষয়।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা ৪ জনের মধ্যে পটিয়া পৌর মেয়র ও উপজেলার আওয়ামী লীগ সাধারণ সস্পাদক অধ্যাপক হারুনুর- রশীদ, দক্ষিণ জেলার যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক ছাএ নেতা আ.ম.ম টিপু সুলতান চৌধুরী,উপজেলার আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি ও দক্ষিণ জেলা শাপলা কুঁড়ি সভাপতি আইয়ুব বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগ যুগ্ন সস্পাদক সরোয়ার হায়দার চৌধুরী।

অন্যদিকে বিএনপির থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪ জনের মধ্যে সাবেক পৌর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মোঃ তৌহিদুল আলম, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব গাজী আবু তাহের, দক্ষিণ জেলা যুব দলের সিনিয়র সহ সভাপতি মো শাহজাহান চৌধুরী। অপর দিকে সাবেক পৌর মেয়র ও জাতীয় পার্টির দক্ষিণ জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রিয় ভাইস চেয়ারম্যান শামশুল আলম মাষ্টার।

মেয়র প্রার্থীদের পাশা পাশি বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলরা নির্বাচনী হাওয়ায় ভাসছে ও কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছে। মেয়র পদে নির্বাচেেন একই দল থেকে একাধিক প্রাথী না থাকলেও কাউন্সিলর পদে বাধ্যবাধকতা না থাকায় দল থেকে একাধিক পদে বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দীতায় রয়েছে।

পৌর মেয়র ও পটিয়া উপজেলা সস্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশীদ বলেন, এবারও দল থেকে আমি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছি। মাঠ পর্যায়ে আমার অবস্থান ও প্রস্তুতি খুবই ভালো। দলের দায়িত্ব পালনের পাশা পাশি বিভিন্ন উন্নয়নে কাজ করেছি। সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সহ প্রত্যেক সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিবিড় সস্পর্ক। নিশ্চয় জনগণ আমার কাজের মূল্যায়ন করবেই। দল এবারও আমার কর্মযোগ্যতার মূল্যায়ন করবেই।

দক্ষিণ জেলা যুবলীগ সভাপতি আ,ম,ম, টিপু সুলতান চৌধুরী বলছে, স্কুল জীবন থেকে রাজনীতিতে জড়িত। স্কুল ছাএ লীগ থেকে শুরু করেই আজ পর্যন্ত দলের জন্য নিজেকে উজার করে দিয়েছি। বিনিময়ে কোনো কিছুু চাইনি। মানুষ পরিবর্তন চাই একজন জন প্রতিনিধি মেয়র পদে কয়বার থাকবেন। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে মূল্যায়ন করবেন।

উপজেলা আ”লীগ সহ সভাপতি আইয়ুব বাবুল বলেন, শিক্ষা জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। তৃর্ণমূল থেকে গড়ে উঠা, আ” লীগের দুঃসময়ে মাঠে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। দলীয় মনোনয়ন পেলেই জয়ের আশাবাদী।

পৌর আ”লীগ যুগ্ন সস্পাদক সরোয়ার হাযদার বলেন, শিক্ষা জীবন থেকে আ’লীগ রাজনৈতিতে জড়িত। পৌর বাসীর সমর্থনে স্বত্বঃর্স্ফুত ভাবে আমাকে মেয়র পদে দেখতে চান। আমি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।

পটিয়া সাবেক পৌর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মোঃ তৌহিদুল আলম বলেন, গত পৌর নির্বাচনে বিএনপি থেকে মেয়র পদে নির্বাচন করেছি। মাঠ পর্যায়ে আমার অবস্থান খুবই ভাল। মাঠে ময়দানে ও দলের নেতা কর্মীদের পাশে রয়েছি। দলের দুঃসময়ে মাঠে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। দল আমার কাজের মূল্যায়ন করবেন।

পৌর বিএনপির সদস্য সচিব গাজী মোঃ আবু তাহের বলেন, আমি পৌর নির্বাচনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। পৌরবাসী আমাকে মেয়র পদে দেখতে চান। দল ও এলাকার লোকজনের সহায়তার দোয়া নিয়ে দলীয় মনোনয়ন পেলে জয় নিশ্চিত।

দক্ষিণ জেলা যুব দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো শাহজাহান চৌধুরী বলেন, দলের দুঃসময়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। নেতা কর্মীদের বিপদ-আপদে পাশে রয়েছি। দল আমার বিভিন্ন কর্মকান্ডের বিষয়ে মাথায় রেখে দলীয় মনোনয়ন পেলে জয়ের আশাবাদী।

অপর দিকে সাবেক পৌর মেয়র ও কেন্দ্রিয় ভাইস চেয়ারম্যান শামশুল আলম মাষ্টার জাতীয় পার্টির একক প্রাথী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষনা দিয়ে বলেন, পৌর এলাকায় আমার ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। মানুয় পরিবর্তন চান। সরকার ও নির্বাচন কমিশার সুষ্ঠ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জোর দাবী জানাচ্ছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হলেই নিশ্চিত শতভাগ জয়।

উল্লেখ যে, ১৯৯০ সালে ৬ ডিসেন্বর পটিয়া পৌরসভার প্রতিষ্টা হয়েছে। আগামী ২০২১ সাল ২৭ ফেবুয়ারীতে মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ভোট সংখ্যা প্রায় ৫৭ হাজার।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.