আর স্বল্পোন্নত নয়, ফেব্রুয়ারিতেই উন্নয়নশীল বাংলাদেশ!
সিটি নিউজ ডেস্ক: এবার মুজিববর্ষেই অনন্য এক অর্জনের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, আসছে ফেব্রুয়ারিতেই স্বল্পোন্নত দেশের তকমা ঘুচিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ঢুকবে বাংলাদেশ।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী জানান, তিনটি সূচকেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অগ্রগতি হওয়ায় সরকার আশা করছে ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় পর্যালোচনায় এ স্বীকৃতি পাবে বাংলাদেশ।
ব্রিফিংয়ে বেশি দামে ভ্যাকসিন কেনা হচ্ছে কিনা, তা জানতে চাইলে মন্ত্রী নিশ্চিত করেন, ভ্যাকসিনের দাম ইস্যুতে ঠকবে না বাংলাদেশ। এ সময় পর্যায়ক্রমে দেশের সব নাগরিককে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে আসতে তিনটি সূচকে যে মান অর্জন করতে হয়, তার সব কটিতেই বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। যদিও, তিনটি সূচকের যেকোনও দুটিতে উত্তীর্ণ হলেই গ্র্যাজুয়েশন পাওয়া যায়।
বেধে দেয়া লক্ষ্য অনুযায়ী মাথাপিছু আয় ১ হাজার ২২২ ডলার, মানবসম্পদ সূচকে ৬৬ পয়েন্ট বা বেশি এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুর সূচকে ৩২ পয়েন্ট বা কম। এর বিপরীতে সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ এগিয়ে আছে সবকটিতেই।
২০১৮ সালে প্রথম পর্যালোচনাতেও, বাংলাদেশ প্রতিটি সূচকেই অত্যন্ত ভালো অবস্থানে ছিল। ওই বছর থেকে পরবর্তী তিন বছর সূচকগুলো পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং বাংলাদেশের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকায় এ বছর বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করবে। এরপর ২০২৪ সালে সূচকগুলোর অবস্থান ভালো সাপেক্ষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাংলাদেশ এই তালিকা থেকে বের হয়ে যাবে।
২০১৬ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ওই তালিকা থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা শুরুর জন্য পরিকল্পনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। দুই বছর আলোচনার পরে ২০১৮ সালে জাতিসংঘ সন্তুষ্ট হয় এবং বাংলাদেশকে তিন বছরের জন্য পর্যবেক্ষণে রাখে, যা আগামী মাসে শেষ হবে।
সিটি নিউজ/জিএস