চীনা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ফাইজারের টিকা বর্জনের আহ্বান

0

সিটি নিউজ ডেস্ক: করোনা মোকাবিলায় মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ) টিকা ব্যবহার বন্ধের জন্য নরওয়েসহ অন্যান্য দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চীনা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত কানাডায় করোনা টিকা নিয়ে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। ফাইজারসহ আরও কয়েকটি ফার্মাসিউটিক্যালস করোনার এ টিকা তৈরি করেছে। নরওয়েতে এ টিকা নিয়ে ২৩ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি মারা গেছেন। তারপরই এমআরএনএ টিকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। চীনা বিশেষজ্ঞরা বিশেষভাবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এমআরএন টিকা ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন।

চীনের একজন ইমিউনোলজিস্ট বলেন, এমআরএনএ টিকা খুব তাড়াহুড়ো করে তৈরি করা হয়েছে। সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধে কতটা কার্যকর তা দেখার জন্য বৃহত্তর পরিসরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি। মানুষের শরীরে ব্যাপকহারে ব্যবহারের জন্য এমআরএনএ টিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি।

উহান উইনিভার্সিটির ভাইরোলজিস্ট ইয়াং ঝাংকিউ শুক্রবার গ্লোবাল টাইমসকে জানান, যদি প্রমাণ হয় ফাইজার বা অন্য প্রতিষ্ঠানের এমআরএনএ টিকার কারণে মৃত্যু হয়েছে, তাহলে বুঝতে হবে এ টিকা প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করছে না। কারণ এমনআরএন টিকা মানুষের জীবন রক্ষার জন্য।

এমআরএনএ রোগপ্রতিরোধ করার জন্য মানবকোষকে উদ্বুব্ধ করে। তারপর শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করে থাকলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তা থেকে মানুষকে রক্ষা করে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নরওয়েতে মৃত্যুর ঘটনা এটাও প্রমাণ করে যে এমআরএনএ করোনা টিকার কার্যকরী যতটা আশা করা হয়েছিল ততটা না।

নরওয়ের মেডিসিন এজেন্সি তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুর কারণ তারা মূল্যায়ন করতে পেরেছে। এমআরএনএ টিকার কারণে দুর্বল বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানানো হয়।

নরওয়ের গণমাধ্যম এনআরকে এক প্রতিবেদনে জানায়, মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সবাই বয়োজ্যেষ্ঠ এবং শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তারা। গড় বয়স ৮০ বছর; কয়েকজনের বয়স ৯০ হয়েছিল।

এজেন্সি জানায়, নওয়েতে ফাইজার-বায়োএনটেক এবং মডার্নার দুটি টিকা ব্যবহার করা হচ্ছে। এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ টিকা তৈরি করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর অস্থায়ী অনুমোদন দেয়। ডিসেম্বরের শুরুতে নরওয়েতে গণহারে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। অগ্রাধিকার দেওয়া হয় বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক যাদের বয়স ৮৫ বা তার বেশি এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের। নরওয়ের মেডিসিন এজেন্সি জানায়, যে গবেষণার ভিত্তিতে টিকার অস্থায়ী অনুমোদন দেয়া হয়েছে, সেখানে ৮৫ বছর বয়সীদের অংশগ্রণের হার খুব কম ছিল। বয়োজ্যেষ্ঠদের ক্ষেত্রে টিকা ব্যবহারে কেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে সে বিষয়েও কম তথ্য ছিল। ৬৫’র বেশি বয়সীরা এমআরএন টিকা নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হচ্ছেন। চীনা বিশেষজ্ঞরা বলেন, মৃত্যুর আসল কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি। খতিয়ে দেখা উচিৎ টিকা নেয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে, নাকি তাদের আগে থেকে অন্য কোনো সমস্যা ছিল।

সিটি নিউজ/জিএস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.