কাউন্সিলর প্রার্থীদের পাল্টা পাল্টি অভিযোগঃ ভ্রাম্যমান আদালত তৎপর

0

সিটি নিউজঃ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, উত্তেজনা তত বাড়ছে মাঠে। পোস্টার ছেড়া, কর্মীদের ওপার হামলা, ভাঙচুর, প্রচারে বাঁধাসহ হুমকি ধামকি অব্যাহত আছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের উপর। এমনকি দলের সমর্থিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী অনেকের চাটুকারও স্বতন্ত্র ও বিএনপি প্রার্থীদের নিয়োজিত কর্মীদের মোবাইলে ও সামনা সামনি হুমকি প্রদর্শন করার অভিযোগ রয়েছে।

২৬ নং ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রকজন প্রার্থীর স্বজনকে একজন দুবৃত্ত মোবাইলে হুমকি দিয়ে বলেছে, “ ২৭ তারিখের পর ফয়সালা হবে। তৈয়ার থাইক্ক”। প্রচারণা থেকেও প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীকে অনেকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। কোন কোন ওয়ার্ডে “দলীয় সমর্থন” এর বদৌলতে কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন চাড়ও হচ্ছে স্বতন্ত্র ও বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজনের উপর। লালখান বাজার ও মোগলটুলিতে হয়েছে সংঘর্ষ। চকবাজার ও দেওয়ান বাজার এলাকায়ও সংঘর্ষ হয়েছে।

৩৬ নং ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাসান মুরাদ বিপ্লব আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মো. সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে। অভিযোগ পত্রে বিপ্লব লিখেছেন, প্রচারণার পোস্টার ও ব্যানারে সালাউদ্দিন নিজেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এসব অভিযোগের পর অভিযোগ জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীদের দাপটে অসহায় হয়ে পড়েছেন স্বতন্ত্র ও বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীরা। কোথাও কোথাও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোস্টার ছেঁড়া হচ্ছে। নগরীর ২৮ নং ওয়ার্ডে একজন মার্ডার হওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোস্টার বলতে কিছুই নেই। মাঠ এখন দলীয় প্রার্থীর দখলে।

এভাবে নগরীতে কোন কোন ওয়ার্ডে দলীয় কান্সিলর প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুখোমুখি অবস্থানে আছেন। মেয়র পদে প্রচারণায় কোন সংঘাত ও সহিংসতা এখনও নেই। তবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে প্রত্যেক ওয়ার্ডে রয়েছে দ্বন্ধ। প্রকাশ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। নির্বাচন কমিশনের ম্যাজিস্ট্রেটগণ নগরীতে ভ্রাম্যমান আদলত পরিচালনা করছেন। ভ্রাম্যমসান আদালত, দলীয়ভাবে মনোনীত লেখা পোস্টটার, গাড়ীতে লাগিয়ে প্রচারণার দায়ে বাগমনিরাম ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের প্রচারনাকারী জনৈক অনোয়ারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

নগরীতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল, দলীয় মনোনীত পোস্টার, ব্যানার ঝুলছে সরকারীদলের কাউন্সিলরদের। অন্যদিকে প্রায় ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র ও বিএনপির কাউন্সিলররা নির্বাচনী প্রচারণায় অফিসই খুলতে পারেননি। তারা ভয় ও আতংকে আছেন, ভোটারদের মধ্যেও রয়েছে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা। ৯ নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের স্থানীয় এক বাসিন্দা বললেন, “পুরনো চাইলে ভাত বাড়ে, আগের জনই আবার হইলে ভালা”।

গোসাইল ডাঙ্গার স্থানীয় বাসিন্দা লালু ঘোষ বললেন, কি কইবা বাজি, এতনি ফেতনিও আজিয়া নেতা হইয়ে, অঘাট ঘাট হইয়ে। ইবা শুভ লক্ষণ নয়, কালাইয়া, ননাইয়া, বাছাইয়ারা গাড়ী লই ঘুরে। আাগে টেম্পুর ভাড়াও ন’আছিল। বেয়াগ ভগবানের ইচ্ছা।

সিটি নিউজ/জস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.