চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চন্দনাইশ পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন বাচাই পর্বে এলডিপি সমর্থিত একমাত্র প্রার্থী আইনুল কবির ও ১০ কাউন্সিলরের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটানিং অফিসার। তবে এসকল বাতিলকৃত প্রার্থীরা জেলা রিটানিং অফিসার বরাবরে আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার।
মঙ্গলবার পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের বাচাই পর্বে এলডিপি সমর্থিত একক প্রার্থী পৌর এলডিপির সভাপতি আইনুল কবিরের বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপির অভিযোগ এনে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। অপরদিকে কাউন্সিলর মধ্যে মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করায় ১নং ওয়ার্ডের শাহেদুল ইসলামের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী কেএম হামিদ উদ্দিন, মোজাম্মেল ইসলাম সোহেল ও মোঃ কামাল হোসেন চৌধুরী ঋণ খেলাপি হওয়ায় এবং মোঃ ইউসুফ মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করায় মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। ঋণ খেলাপি হওয়ায় ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ গোলাম মোস্তফার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। ৬ নং ওয়ার্ডে ঋণ খেলাপি হওয়ায় মোঃ সৈয়দ এবং মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করায় সরোয়ার ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। ৭নং ওয়ার্ডে মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করায় মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী এবং ঋণ খেলাপি হওয়ায় মোঃ আবু ছাদেকের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
এব্যাপারে সহকারী রিটানিং অফিসার ও নির্বাচন কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলাম বলেছেন, মনোনয়ন বাতিলকৃত প্রার্থীরা জেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবলে লিখিতভাবে তিনদিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।
এলডিপি প্রার্থী আইনুল কবির বলেছেন, তার বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপির যে অভিযোগ তুলা হয়েছে তিনি তা ইতিমধ্যে পরিশোধ করেছেন। বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে উপস্থাপিত না হওয়ায় তিনি এব্যাপারে জেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবরে আপিলের মাধ্যমে উপস্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বিরুদ্ধে মামলার তথ্য গোপনের বিষয়টির ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন সরকার জানিয়েছেন, প্রার্থীর নাম এবং পিতার নাম মিলে গেলেও যার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তিনি প্রার্থী মোজাম্মেল নয়। অপরদিকে সরওয়ার আলমের বিরুদ্ধে যে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাটি দেখানো হয়েছে তা আবু তাহেরের বিরুদ্ধে । টাইপে ভূল হওয়ার কারণে এ দুই প্রার্থীর তথ্য ভূল এসেছে। বিষয়টি তারা আপিলের মাধ্যমে সংশোধন করতে পারবেন।