পটিয়ায় ১১৫ গৃহহীন পরিবার পেয়েছেন বসতঘর

0

সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধিঃ মুজিব জন্মশতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রামের পটিয়ায় ১১৫ ভূমিহীন ও গৃহহীন পেয়েছে বসতবাড়ি। গৃহহীনদের মধ্যে দুই শতক জমি সহ সেমিপাকা ঘর হস্থান্তর করা হয়েছে। প্রত্যেকটি গৃহনির্মাণ ব্যয় ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা।

মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে শনিবার (২৩ জানুয়ারী) আশ্রয়ণ প্রকল্পের-২ এর আওতায় ঘরগুলোপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভ উদ্বোধনের পর গৃহহীনদের মাঝে একটি সনদ ও দলিলের মাধ্যমে বসতবাড়ি হস্থান্তর করেন।

পটিয়ায় উপজেলা পরিষদ মিলায়তনে অনুষ্ঠিত পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি ছিলেন, পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, বিশেষ অতিথি পটিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইনামুল হাছান, আওয়ামী লীগ নেতা ও চট্রগ্রাম জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেবব্রত দাশ দেবু, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আ. ক. ম. শামসুজ্জমান চৌধুরী সহ বিশিষ্ট্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পটিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইনামুল হাছান বলেন, গৃহহীনদের জমি ও গৃহ দেয়া ছাড়াও ঋণদান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহসহ আয়বর্ধক কার্যক্রমে দারিদ্র্য দূরীকরণে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় মুজিববর্ষে কোনও মানুষ গৃহহীন থাকবে না। প্রতিটি পরিবারকে আলাদা ঘর দেয়ার কর্মসূচি হিসেবে বসতঘর নির্মাণ করা হয়েছে।ঘর নির্মাণে ব্যবহৃত হচ্ছে সরকারি খাস জমি। এসব জমির অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করে। জনকল্যাণে ব্যবহার হচ্ছে। এ সব ঘরে সুপেয় পানি, বিদ্যুতের ব্যবস্থা ও ঘরের বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের জন্য আশপাশে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সাধারণত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও দরপত্রের মাধ্যমে কাজ করা হলেও এটি তদারক করছেন।

স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তারা। প্রথম পর্যায়ে ৬৬ হাজার পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে আগামীপ্রায় ১ লাখ পরিবার দেয়া হবে। এটি চলমান থাকলে আগামী ২ বছরের মধ্যে সবাইকে ঘর দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করতে পারবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। প্রতিটি ঘরে দু’টি শয়ন কক্ষ, ১টি টয়লেট, ১টি রান্নাঘর ও ১টি লম্বা বারান্দা থাকবে। প্রতিটি পরিবারকে দুই শতাংশ জমি স্বামী-স্ত্রী দু’জনের নামেই রেজিস্ট্রি ও নামজারি করে দেওয়া ও একটি সনদ দেওয়া হয়। ঘরগুলো এমন জায়গায় করা হয়েছে যাতে জীবন ধারণের সঙ্গে যুক্ত।

সিটি নিউজ/ডিটি

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.