যারা নবীকে কষ্ট দেয় তারা মোমেন নয় মোনাফেক

চন্দনাইশে পূর্ব জোয়ারা সমাজ কল্যাণ সংস্থার মাহফিলে ড. সৈয়দ হাসান আল-আজাহারী

0

চন্দনাইশ প্রতিনিধি: আল-আজাহার বিশ্ববিদ্যালয় মিশরের সাবেক ভিপি শাইখ মাওলানা ড. সৈয়দ হাসান আল-আজাহারী বলেছেন, মসজিদের মিম্বরে উঠে মিথ্যা বলা যায় না, তোশামোদ করা যায় না। মিম্বরের বক্তব্য আল্লাহর দরবারে হিসাব দিতে হবে। আল্লাহর ভয় এবং আশা থাকলে মানুষ ওলি হয়। তওবার মাধ্যমে বান্দার হক মাফ পাওয়া যায় না, আল্লাহর হক মাফ পাওয়া যায়।

গত শুক্রবার বাদে এশা হতে চন্দনাইশ পৌরসভার পূর্ব জোয়ারা সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে প্রতিবারের ন্যায় পূর্ব জোয়ার তৈয়্যবিয়া জামে মসজিদ মাঠে ১১তম নূরানী মিলাদ-মাহফিলে এ কথা বলেন।  তিনি বলেন, যারা সরকারি কর্মকর্তাদের ৪০ দিনের চিল্লায় নিয়ে জীবনের গুনা মাফ করার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন, তা বিশ্বাস করলে মোনাফেক হয়ে যাবেন। ২৫ বছর বয়সে নবী করিম (দঃ) মানবতার দাওয়াত দিয়ে হিলফুল ফুজুল সংগঠনের মাধ্যমে মদিনাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছিলেন।

৪০ বছর বয়সে তাওহিদের দাওয়াত দেন। তিনি বলেন, মায়ানমারের রোহিঙ্গা, সিরিয়া, ইয়াম্যান, ফিলিস্তানীদের জিহাদ করার সময় এসেছে। নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত আল্লাহর হক। কিন্তু দুনিয়াবী অপরাধ, সরকারের ও অন্যের সম্পদ, অর্থ, আত্মসাৎ করলে তা তাওবা করেও মাফ পাওয়া যাবে না। আমরা আমাদের কর্মের কারণে জান্নাত বা জাহান্নামে যাব। মোমেন ছিনতে হলে নবী প্রেম যাচাই করতে হবে। যারা নবীকে কষ্ট দেয় তারা মোমেন নয় মোনাফেক।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাও. সোলাইমান ফারুকীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন মাও. মো. আবু ইউসুফ নুর, তকরির করেন, মাও. রুহুল আমিন, মাও. সৈয়দুল হক, মাও. আহমদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে ব্যাংকার আমিনুল ইসলাম, চন্দনাইশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি এড.মো. দেলোয়ার হোসেন, মক্কা আওয়ামী ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোজাম্মেল হক, মাও. আবদুল হালিম, মেয়র প্রার্থী ফারুক বাহাদুর, মারুফ রেজা। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি মুরাদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন, মো. আরাফাত, মো.সাইমন, মো. পারভেজ, মো. আকিব, মো. আজাদ, মো. আরিফ, মো. লোকমান, মো. রুবেল, মো.মানিক, মো. মঈনুদ্দিন প্রমুখ।

 

সিটি নিউজ/জিএস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.