ভোটে যানবাহন জনমানব শূণ্য রাজপথ
দিলীপ তালুকদারঃ বহুল প্রত্যাশিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) সংঘর্ষ, ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া, মৃত্যুর ঘটনার মধ্যদিয়ে চলেছে নির্বাচন। নির্বাচনে সাধারণ ছুটি থাকলেও এবার সাধারণ ছুটি না দিয়ে নির্বাচন কমিশন সব কিছু খোলা রাখার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তা প্রত্যক্ষ করেননি নগরবাসী। সকাল থেকে যানবাহন শূণ্যতায় নগরবাসীর চলাচলে ব্যাঘাত ঘটেছে চরমভাবে। অনেকে অফিসে যাবার জন্য বের হলেও যানবাহনের অভাবে আর যেতে পারেননি।
নগরে যানবহানের পাশাপাশি বন্ধ ছিল অধিকাংশ দোকান পাট ও শপিং মল। অধিকাংশ অফিসও বন্ধ ছিল।
সকাল ১১ টায় ২৭ নং দঃ আগ্রাবাদ সিটি শপিং মহিলা কেন্দ্রে কোন ধরনের ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়নি। গলীর মুখে সরকার দলীয় প্রার্থীর অনুসারীরা মহিলাদের ভোট কেন্দ্রে যেতে মানা করে দিচ্ছে। একই এলাকার খালেদিয়া সরকারী প্রাইমারী স্কুল কেন্দ্রেও একই অবস্থা।
ওই কেন্দ্রের ভোটার নুরুল আলম বললেন, নির্বাচন কমিশন আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে স্ট্রাইকিং ফোর্স রাস্তায় টহল দিলেও গলীতে তারা নেই। আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ কেন্দ্রেও প্রতিপক্ষের এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী প্রার্থীরা।
২৮ নং ডেবার পাড় কেন্দ্রেও ভোটার শূন্য। ২৪ নং ওয়ার্ড টিএন্ডটি স্কুলে চলেছে একতরফা ভোট চলেছে। সরকার দলীয় সমর্থকরা কব্জা করে রেখেছে। দলীয় লোকেরাই দলীয় লোকদের বের করে দেওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। এসব কেন্দ্রে বাইরে বেশ বড়াকড়ি থাকলেও ভিতরে ভোটার শূণ্য।
বিকেল ২টার দিকে আন্দরকিল্লায় ওমর গনি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন সমর্থক ও পুলিশ ছাড়া মাঠে কোন ভোটার দেখা যায়নি।
নগরীর বাকলিয়া কল্পলোক আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. ইলিয়াছ জানান, অফিস খোলা তাই সকালে বের হয়েছিলাম অফিসে যেতে। কিন্তু রাস্তায় গাড়ী নেই। তাই আর অফিসে যাওয়া হয়নি। আগ্রাবাদ আমার অফিস এখান থেকে রিক্সা ভাড়া চায় ২শ টাকা।
নগরীর নতুন ব্রিজ গোল চত্বর এলাকা। সবসময় যানবাহন ও মানুুষে পরিপূর্ণ এলাকা। কিন্তু দুপুর ২টার পর দেখা গেল যানবাহন ও জনমানবশূল্য। বাঁশখালী বাস কাউন্টারের কর্মকর্তা মো. জাকির বললেন, কোন যাত্রী নেই। সকাল থেকে মাত্র ২টি গাড়ী গেছে বাঁশখালীতে।
নগরীতেও যানবাহন চলাচল করেনি। ২/১টা চললেও ভাড়া আদায় করেছে বেশী।
সিটি নিউজ/ডিটি