দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫/২৪২

0

স্পোর্টস ডেস্কঃ বাংলাদেশ সফররত ওয়েষ্ট ইন্ডিজের সাথে দুই টেষ্ট সিরিজের প্রথম টেষ্টে প্রথম দিন শেষে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিক বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ৫ উইকেটে ২৪২ রান।

চট্টগ্রাম জহুর আহেমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকরাই। উইকেটে গতি ও মুভমেন্ট না থাকলেও রক্ষণাত্মক ফিল্ডিংয়ের কৌশল ভালোভাবেই কাজে দিয়েছে সফরকারীদের। পাশাপাশি রানের চাকা শ্লথ হয়ে পড়ায় স্বাগতিকদের ধৈর্য পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়। সেখানেই মনোযোগ ও স্থিরতার অভাবে দীর্ঘস্থায়ী টেস্ট মেজাজের ব্যাটিং উপহার দিতে পারেনি মুমিনুল হক, সাদমান ইসলামরা।

বিশেষ করে প্রথম থেকে আগলে খেলা সাদমান ভালো প্রতিরোধ গড়লেও সচেতনতার অভাবে ফিরে গেছেন হাফসেঞ্চুরির পর। লেগ বিফোরের সিদ্ধান্তে রিভিউ নিলে এই স্কোরবোর্ডের চেহারা দিন শেষে ভিন্ন রকমও হতে পারতো! স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতো স্বাগতিকরা।

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর তামিম ইকবাল ভালো সূচনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু পঞ্চম ওভারেই বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন।স্বাগতিকরা এক পেসার রাখলেও সফরকারীরা রেখেছে ৩ পেসার। আর শুরুর আঘাতটাই হেনেছেন পেসার কেমার রোচ। দলীয় ২৩ রানে তার ভেতরে ঢুকে পড়া বল রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে গিয়েছিলেন তামিম। কিন্তু ঠিকমতো ব্যাটে-বলে হয়নি। ব্যাট ছুঁয়ে প্যাডের ফাঁক গলে আঘাত হানে স্টাম্পে! তামিম ফিরেছেন ৯ রান করে।

এর পর সাদমান আর শান্ত মিলে গড়েন শুরুর দিকের জুটি। পোক্ত হওয়ার পথেই ছিলেন দু’জন। কিন্তু ২৪তম ওভারে সাদমানের অপ্রয়োজনীয় দ্বিতীয় রান নেওয়ার তাড়ায় বলি হয়েছেন শান্ত। ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে শান্ত বিদায় নিয়েছেন ২৫ রান করে। তার বিদায়ে ভেঙেছে ৪৩ রানের জুটি।

প্রথম সেশনে দুই উইকেট পতনের পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় ছিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম ও অধিনায়ক মুমিনুল হকও। তাদের ব্যাটে ভর করেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ পার হয় শত রান। সাদমান তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট হাফসেঞ্চুরি। যার সর্বশেষ ফিফটি ছিল ২০১৮ সালে অভিষেকে, এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। এর পর ১০ ইনিংসে ছিল না কোনও ফিফটি।

উইকেট থেকে টার্ন ও পেস না পেয়েও ক্যারিবীয়রাও ফিল্ডিং সেট করেছিল রক্ষণাত্মকভাবে। সাদমানের বিদায়ের আগে ৫১তম ওভারে সেই ফাঁদেই পা দেন মুমিনুল। বামহাতি ওয়ারিকানের স্পিনে বাতাসে ভাসানো ড্রাইভ করেছিলেন। কিন্তু শর্ট মিড উইকেটে লাফিয়ে সেটি তালুবন্দী করে নেন জন ক্যাম্পবেল। মুমিনুল ২৬ রানে ফেরায় ভেঙে যায় ৫৩ রানের জুটি।

চা পানের বিরতির এক ওভার আগেই ফিরে যান শুরু থেকে একপ্রান্ত আগলে খেলা সাদমান। বিদায় নেন ৫৯ রান করে। ওয়ারিকানের স্পিনে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। আম্পায়ার আঙুল উঠিয়ে দিলে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা গেছে বল মিস করেছিল লেগ স্টাম্প। তাই রিভিউ নিলে বেঁচে যেতে পারতেন। কিন্তু সাদমান সে পথে হাঁটেননি।

তার বিদায়ের পর জুটি গড়ায় মনোযোগ দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। ৫৯ রানের এই জুটিকেও স্থায়ী হতে দেননি ওযারিকান। তার অফস্টাম্পের বাইরে পড়া ঘূর্ণি বল ডিফেন্ড করতে গিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু বল তার ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় স্লিপে থাকা রাকিম কর্নওয়ালের হাতে! ৬৯ বলে মুশফিক ফেরেন ৩৮ রান করে।

এর পর শেষ বিকালে কোনও বিপদ বাড়তে দেননি সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। এই দুজনের ব্যাটে ভর করেই শেষ সেশন নিয়ন্ত্রণ রাখে স্বাগতিকরা। সাকিব ব্যাট করছেন ৩৯ রানে, লিটন ৩৪ রানে।

৫৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন বামহাতি স্পিনার ওয়ারিকান। ৪৪ রানে একটি নিয়েছেন পেসার কেমার রোচ।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ বাংলাদেশ ২৪২/৫(৯০.০ ওভার, তামিম ৯, সাদমান ৫৯, শান্ত ২৫, মুমিনুল ২৬, মুশফিকুর ৩৮, সাকিব ৩৯*, লিটন ৩৪*; রোচ ১/৪৪, গ্যাব্রিয়েল ০/৫১, কর্নওয়াল ০/৫৬, মায়ার্স ০/১৬, ওয়ারিকান ৩/৫৮, ব্রাথওয়েট ০/১৩)

সিটি নিউজ/ডিটি

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.