বিএনপি গণ্ডগোল করে খবরের শিরোনাম হতে চায়ঃ তথ্যমন্ত্রী

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ বিএনপি আমাদের সরকারের বিরুদ্ধেও ক্রমাগত ১২ বছর ধরে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরে কয়েকশ মানুষের সমাবেশ করে বিএনপি দাবি করছে—তাদের বিশাল সমাবেশ হয়েছে। আসলে বিএনপির জন্য পৃথিবীটা ছোট হয়ে আসছে বললেন, তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

আজ রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তোপখানা রোডে প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল বিএনপি খবরের শিরোনাম হতে চেয়ে গণ্ডগোল ঘটানোর জন্যই মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে পুলিশের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও রাস্তা অবরোধ করেছিল। জনগণের সুবিধার্থে পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। সমাবেশতো চট্টগ্রামসহ আরো বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে, কোথাওতো এ ধরনের গণ্ডগোল হয়নি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের অগ্রযাত্রায় স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতা উভয়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রেস কাউন্সিলের প্যানেল চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও তথ্যসচিব খাজা মিয়া এবং প্রেস কাউন্সিল সদস্যদের মধ্যে সিনিয়র সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু বক্তব্য দেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং গণমাধ্যম যাতে সমাজের দর্পণ হিসেবে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, ভুল এবং অসত্য সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকে এবং সেটি হলে যাতে প্রতিকার হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর পরই ১৯৭৪ সালে প্রেস কাউন্সিল গঠন করেছিলেন। প্রেস কাউন্সিল তখন থেকেই অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

আজকে প্রেস কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ২০১৭ সালে এ দিনটিকে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয় উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘একটি বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গঠনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমরা অবাধ তথ্যপ্রবাহ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সেই বিশ্বাস রেখেই আজকে রাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে এবং গত ১২ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতার সঙ্গে আসে দায়িত্বশীলতা। একজনের স্বাধীনতা যেন অপরের স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে, অপরের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর যেন হস্তক্ষেপ না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’

‘প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধন করতে যাচ্ছি, যাতে প্রেস কাউন্সিল বাস্তবতার নিরিখে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তাদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা সুচারুভাবে পালন করতে পারে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং দায়িত্বশীলতা দুটিই নিশ্চিত করতে পারে’, বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা একটি বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণে কাজ করছি। আজ দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশে-বিদেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের ব্যাপারেও আমাদের সজাগ থাকতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে প্রেস কাউন্সিল দিবস উপলক্ষে প্রেস কাউন্সিল সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং সব গণমাধ্যমকর্মীকে শুভেচ্ছা জানান। আগামী দিনগুলোতে প্রেস কাউন্সিল আরো কার্যকর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তথ্যসচিব খাজা মিয়া বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত প্রেস কাউন্সিলকে দেশ, মানুষ ও গণমাধ্যমের স্বার্থে এগিয়ে নেওয়া আমাদের কর্তব্য।

সিটি নিউজ/ডিটি

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.