জেন্ডার জনিত সহিংসতায় সেবা প্রদানে চিকিৎসকদেরকে আন্তরিক হতে হবে

চট্টগ্রাম বিভাগীয় অ্যাডভোকেসী কর্মশালায় বক্তারা

0

সিটি নিউজ ডেস্ক: জনস্বাস্থ্য সুবিধায় জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতায় (জিবিভি) স্বাস্থ্য খাতের প্রতিক্রিয়া জোরদার করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় অ্যাডভোকেসী কর্মশালায় আজ ৪ মার্চ ২০২১ ইংরেজি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর সিনেমা প্যালেস সংলগ্ন লয়েল রোডস্থ বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। ইউএনএফপিএ’র সহযোগিতায় জেন্ডার, এনজিও, স্টেকহোল্ডার ইউনিট, এইচইডব্লিউ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্মশালার আয়োজন করেন।

বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে ও জিএনএসপিইউ’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজমা সিদ্দিকী বেগমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহাদৎ হোসেন (অতিরিক্ত সচিব)।

বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, সাভারের বিপিএটিসি’র এমডিএস আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর (ডা.) শাহানা আক্তার ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জিএনএসপি ইউনিটের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ সাইদুর রহমান খান।

জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসত বিষয়ে আলোকপাত করেন ইউএনএফপিএ’র টেকনিক্যাল অফিসার ডা. রাহাত আরা নুর। কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ জেলার তত্ত্বাবধায়ক, ১১ জেলার সিভিল সার্জন, ১১ জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক, ১১ জেলা সদর হাসপাতালের আরএমও, ৪ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত আরএস (গাইনী এন্ড অবস), আরএস (পেডিয়াট্রিক সার্জারী) ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় অংশ নেন।

অ্যাডভোকেসী কর্মশালায় বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য খাতে জেন্ডার জনিত সহিংসতায় সেবা প্রদানে চিকিৎসকদের আরো বেশি আন্তরিক হতে হবে। নারী-শিশু নির্যাতন প্রতিকার ও প্রতিরোধে স্বাস্থ্যখাতের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা জনগণের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া একজন চিকিৎসকের দায়িত্ব। সকলের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারলে সরকার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে। নারী-শিশু নির্যাতনের প্রতিকার ও প্রতিরোধে সরকার সংকল্পবদ্ধ। এ লক্ষ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৩২ নং ধারা, এসিড নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০০ এর ৪৩ (২) নং উপধারা, এসিড অপরাধ দমন আইন ২০০২ এর ২৯ নং ধারায় নির্যানের শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষা সংক্রান্ত বিধান রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের রীট পিটিশন নং ৫৫৪১/২০১৫ এর ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ খ্রিঃ এর রায় এবং রীট পিপিশন নং-১০৬৬৩/২০১৩ এর ১২ এপ্রিল ২০১৮ খ্রিঃ এর রায়ে মহামান্য আদালত এ সংক্রান্তে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

বক্তারা আরো বলেন, পুলিশ রেফারেন্স ছাড়াও ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার কোন নারী বা শিশু যে কোন সরকারী অথবা সরকার কর্তৃক স্বীকৃত বেসরকারী হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হলে যথা নিয়মে পরীক্ষাসহ তাৎক্ষনিকভাবে চিকিৎসা দিতে হবে। একইসাথে অপরাধ সংঘটনের বিষয়টি নিকটস্থ থানাকে অবহিত করতে হবে। পরবর্তীতে মেডিকেল সার্টিফিকেটের এক কপি নির্যাতিতাকে, এক কপি আইনী প্রয়োজনে কোর্ট/পুলিশকে প্রদান ও এক কপি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সংরক্ষণ করতে হবে। ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের ক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটনের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রাসায়নিক/ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার প্রয়োজনে পুলিশের মাধ্যমে প্রেরণ করতে হবে। সকল ক্ষেত্রে নির্যাতিতাদের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। মেডিকেল সার্টিফিকেটে অবমাননাকর “ যৌন কাজে অভ্যস্ত ” শব্দ ব্যবহার করা যাবেনা। সকল ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।বিজ্ঞপ্তি।

সিটি নিউজ/ এসআরএস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.