ফেসবুকে বিদেশি বন্ধুর গিফটের মাধ্যমে প্রতারণা, খোয়ালেন ২১ লাখ টাকা

0

সিটি নিউজ ডেস্ক: ফেসবুকে বন্ধুত্বের পর বিদেশি বন্ধুর গিফট পাঠানোর নামে প্রতারণা থামছে না। বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাসরত নাইজেরিয়ানরা একের পর এক প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। প্রতারণার ভিত শক্ত করতে এ দেশে বিয়েও করছে তারা। পরে অপরাধে জড়াচ্ছে আত্মীয়স্বজনদেরও।

গত ১৭ ফেব্রয়ারি কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন আসে প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানের কাছে। বলা হয় তার নামে একটি পার্শ্বেল এসেছে। গ্রহণ করার জন্য প্রয়োজন ৫৫ হাজার টাকা। শুল্ক কর্মকর্তার দেয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫৫ হাজার টাকা জমা করেন হাবিবুর রহমান। পরের দিন আবারো কথিত শুল্ক কর্মকর্তার ফোন। বলা হয় পার্শ্বেলটি স্ক্যানিং করতে বদিতে হবে আরো প্রায় তিন লাখ টাকা। ওই একই অ্যাকাউন্টে সমপরিমাণ টাকা পরিশোধ করার পর আবারো ফোন। বলা হয় স্ক্যানিংয়ে পার্সেলটিতে ধরা পড়েছে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা। ১৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা পরিশোধ না করলে মানি লন্ডারিংয়ের মামলার ভয় দেখানো হয়। ভয় পেয়ে সুবোধ বালকের মতো এবারও টাকা দিয়ে দেন। এভাবে তিন দফায় হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে কথিত কাস্টমস কর্মকর্তা হাতিয়ে নেন ২১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

প্রতারণার শিকার হয়ে ভুক্তভোগী যোগাযোগ করেন গোয়েন্দা পুলিশে। খোলে প্রতারণার জাল।

প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান জানান, তার সঙ্গে গত বছরের মার্চে ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয় জেসিকা অস্কারের। জেসিকা আমেরিকান নেভিতে কাজ করে বলে জানান তাকে। বর্তমানে রয়েছেন আফগানিস্তানে। সেখান থেকে এক মিলিয়ন ডলার পাঠাতে চায় হাবিবুর রহমানকে। সরল বিশ্বাসে বিদেশি বন্ধুর পাতা ফাঁদে পা দেই।

পুলিশি তদন্তে বের হয়ে আসে, বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাসরত নাইজেরিয়ান একটি চক্রের কাজ এটি। দুই নাইজেরিয়ান নাগরিক, তাদের ৫ বাংলাদেশি সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়।

এক বাংলাদেশি নারী জানান, আমার সঙ্গে ফোনে সম্পর্ক হয়। এরপর বিয়ে করি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কমিশনার এম হাফিজ আক্তার বলেন, প্রতারণা করে বাংলাদেশি মেয়ে বিয়ে করাটা তাদের একটি কৌশল।

ফেসবুকে বিদেশিদের সঙ্গে বন্ধুত্বের পর কথিত গিফটের নামে আর্থিক লেনদেনে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ পুলিশের।

সিটি নিউজ/ এসআরএস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.