সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা বিষয়ে এডভোকেসী সভা

0

সিটি নিউজঃ জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম ১-১৪ এপ্রিল উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা এডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আজ ২২ মার্চ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ফাইলেরিয়াস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রমের বাস্তবায়নে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এডভোকেসী সভার আয়োজন করেন।

সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক সুজন বড়–য়ার সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হোসাইন মোহাম্মদ, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস.এম জিয়াউল হায়দার হেনরী, জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক সাঈদ হাসান ও সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ কফিল উদ্দিন।

সভায় বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা, প্রতিনিধি, শিক্ষক, স্যানিটারী পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য কর্মী, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট, ইপিআই কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মী ও কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, আগামী ১-১৪ এপ্রিল ২০২১ ইংরেজি দুই সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ১৫-৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই সপ্তাহব্যাপী ক্ষুদে ডাক্তারের মাধ্যমে শিক্ষাথীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম।

জেলার প্রত্যেক উপজেলার ৫-১৬ বছর বয়সী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী, বিদ্যালয় বহির্ভূত, ঝড়ে পড়া পথ শিশু, শ্রমজীবি শিশু ও বেদে পরিবারের শিশুসহ সকল শিশুকে ক্ষুদে ডাক্তারদের মাধ্যমে এক ডোজ কৃমি নাশক ট্যাবলেট “মেবেন্ডাজল-৫০০ মিঃ গ্রাম” খাওয়ানো হবে। এটি চুষে খাবার ট্যাবলেট নয়, ভরা পেটে পানি দিয়ে গিলে খাওয়াতে হবে। কোন শিশু পুরো ট্যাবলেট গিলে খেতে অসমর্থ হলে তাকে জোর না করে অন্য ট্যাবলেট ভেঙ্গে টুকরা টুকরা করে গিলে খাওয়ানো যেতে পারে।

কর্মসূচী সফল করতে গণমাধ্যমসহ সর্বত্র ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করা হবে। জেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিগণের সাথে পরামর্শক্রমে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী সফল করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩য় থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষাথীদের মধ্যে থেকে বাচাই করে ক্ষুদে ডাক্তার টিম গঠন করা হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্টান খোলা থাকলে প্রধান শিক্ষক বা শ্রেণি শিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওজন মাপানো, উচ্চতা নিধারণ, দৃষ্টিশক্তি ও পুষ্টিহীনতা নির্ণয়সহ স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নিজেরা নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সজাগ থাকার পাশাপাশি পরিবার ও সমাজকে এ বিষয়ে সচেতন করবে। স্বাস্থ্য কর্মীরা নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়গুলো (খোলা থাকা সাপেক্ষে) পরিদর্শনের মাধ্যমে ক্ষুদে ডাক্তারদেও কার্যক্রম তদারকি করবে।

একই সাথে স্বাস্থ্য পরীক্ষার তালিকা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করতে প্রতিষ্টান প্রধানকে আন্তরিক থাকতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য পরিদর্শকগণকেও এব্যাপারে সুদৃষ্টি রাখতে হবে। সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় তৃণমূল পর্যায় থেকে কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারলে স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রমে ঈর্ষণীয় সাফল্য আসবে।

সিটি নিউজ/ডিটি

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.