সাদার্ন ইউনিভার্সিটিতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

0

সিটি নিউজ ডেস্ক : যথাযথ মর্যাদায় সাদার্ন ইউনিভার্সিটি পালন করলো স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান স্বাধীনতা দিবস—২০২১। করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে এবার ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনায় অনলাইনে যুক্ত হন উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক সরওয়ার জাহান, বিভিন্ন বিভাগের উপদেষ্টা, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক ও কর্মকতার্রা।

আলোচনায় সভায় বক্তারা বলেন, আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, মহান স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তিতে জাতি পালন করছে সুবর্ণজয়ন্তী। একই সাথে স্মরণ ও উদযাপন করছে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী। ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে অনন্যসাধারণ একটি দিন। সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায় দিনটি। ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে রচিত হয়েছিলো বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন, স্বার্বভৌম ভূ—খণ্ডের। জাতিসংঘ কতৃর্ক উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতিপত্রই প্রমাণ করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং স্বাধীনতার কারণেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে । স্বাধীনতার ৫০ বছরে যা অর্জিত হয়েছে তা কোনো অংশে কম নয়। দীর্ঘ পথ চলায় বাংলাদেশ শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে এগিয়ে গেছে অদম্য লক্ষ্যে। দেশ এখন আর কোনো লেখকের কাল্পনিক কাহিনী তলাবিহীন ঝুিঁড় নয় বরং উন্নয়নের রোল মডেল। বিশেষ দিবস পালনের উদ্দেশ্যে হলো বর্তমান শিক্ষার্থীদের কাছে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা। যেকোনো জাতির সঠিক ইতিহাস উঠে আসতে কমপক্ষে ১০০ বছর অপেক্ষা করতে হয়। স্বার্থন্বেষী মহল ইতিহাস বিকৃতির যতই চেষ্টা করুক না কেন একদিন সত্য প্রকাশিত হবে। বঙ্গবন্ধুর দেখানো আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশপ্রেমের মাধ্যমে আমাদের সকলকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আত্ম নিয়োগ করতে হবে

বক্তারা আরও বলেন, ৭ই মার্চ এর ভাষণের অনুপ্রেরণায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিলো মহান মুক্তিযুদ্ধে। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে। স্বাধীনতা মানে যেকোনো জাতির জন্য অহংকার ও গৌরবের স্মারক। আমাদের উচিৎ স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে দেশের কল্যাণে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করা। সত্যিকার অর্থে দেশকে ভালোবাসতে পারলে তবেই বীর শহীদদের আত্মত্যাগের মযার্দা অক্ষুন্ন থাকবে। স্বাধীনতার এই দিনে বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করছি দেশমাতৃকার জন্য আত্মদান করা বীর সন্তানদের এবং স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি মহানায়ক বঙ্গবন্ধুকে যাঁর হাত ধরে আলোর পথে যাত্রা হয়েছিলো সোনালী এক ভূ—খণ্ডের।

পরে বীর শহীদ ও করোনা ভাইরাসে মূত্যুবরণকারী সকলের আত্মার মাগফেরাত এবং করোনা মহামারি থেকে মুক্তি, দেশ, জাতি, প্রতিষ্ঠানের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

সিটি নিউজ/এসআরএস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.