সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধিঃ কাল ৩১ মার্চ বুধবার পটিয়ার আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাবেক মহকুমা সদর, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সুতিকাগার, পটিয়া একটি অগ্রসর জনপথ ও প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম, ব্যবসা- বাণিজ্য, শিল্প-সাহিত্য, শিক্ষা – সংস্কৃতি, সামাজিক ও রাজনীতিতে রয়েছে এর সমৃদ্ধ ঐতিহ্য।
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদর প্রাণ কেন্দ্রে চৌকি আদালত নির্বাচন পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। সারা আদালত পাড়া এলাকায় ব্যানারে ব্যানারে ছেয়ে গেছে। উৎসব মূখর পরিবেশে প্রতি বছরে ন্যায় এ বছরও আজ ৩১ মার্চ পটিয়ার আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সবাই আশা করছেন।
এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্ধিতায় রয়েছেন, সভাপতি ২ সস্পাদক ২ ও সহ সস্পাদক ২ জনের মধ্যে সভাপতি এড.আর্শীষ কুমার চৌধুরী,ও এড.দীপক কুমার শীল, সাধারণ সস্পাদক এড.অরুণ কুমার মিএ ও এড.মো কামাল উদ্দীন, সহ সস্পাদক এড.অমিত কুমার ধর ও এড.সুমন কান্তি দেব।
এই ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্ধিতার মধ্যে তুমুল লড়াই জমে উঠেছে। আদালত পাড়ার বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির আশ্বাস দিয়ে ভোটারদের মন জয়ে চেষ্টা, ভোট প্রার্থনায় প্রার্থীদের ব্যাপক গণসংযোগ অনেকটা সুকৌশলে এগোচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রচারণা কার্যক্রমে গণসংযোগ চোখে পড়ার মতো। উন্নয়নসহ বিভিন্ন সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভোটারদের মন জয়ে প্রাথীরা মহাব্যস্ত।
সভাপতি প্রার্থী এডঃ আশীষ কুমার চৌধুরী বলেন, আমি সভাপতি পদে প্রথম বারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।সদস্যদের ব্যাপক সমর্থন ও সহায়তায় ও সার্বিক পরিবর্তন ও উন্নয়নের লক্ষ্যে দৃঢ প্রতিঙ্গাবদ্ধ। শতভাগ জয়ের আশাবাদী।
আর এক সভাপতি এড. দীপক কুমার শীল বলছেন, সমর্থকদের ভালবাসার, সহায়তার আশীর্বাদ ও দোয়া নিয়ে বিপুল ভোটে শতভাগ জয়ের আশাবাদী।
সাধারণ সস্পাদক পদের প্রার্থী এডঃ অরুন কুমার মিত্র বলেন, ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি ও ভেটাররা স্বত্বর্স্ফুতভাবে ভোট দিবেন। আমার অবস্থান খুব ভালোই।সকল সদস্যবৃন্দের সাথে হৃদয়ের সুসর্স্পক আমার। আমি মূক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবারের সন্তান। শহীদ সারাদা চরণ মিত্রের পুত্র আমি। উন্নয়ন ও পরিবর্তনের লক্ষ্যে নির্বাচনে প্রস্তুতি নিয়েছি। আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
সস্পাদক প্রার্থী এড. মো কামাল উদ্দীন বলেন, সকল সদস্যদের আন্তরিক দোয়া ও আশির্বাদে তাদের সহায়তায় বিপুল ভোটে জয়ের আশাবাদী।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এড. জিতেন্দ্র লাল দত্ত ও সহকারী এড.মনিরুজ জাহান মুন্নি ও মিন্টু আচার্য্য বলেন, নির্বাচন বুথে প্রবেশকালে মোবাইল, ক্যামরা, সঙ্গে রাখা যাবে না। কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সংখ্যা ১১, মোট ভোট সংখ্যা ১৩৮,পুরুষ ১২৯, নারী ৯,পটিয়া ভোটার ৭২, চট্টগ্রামের ভোটার ৬৬ জন। বুথ সংখ্যা একটি। লাইব্রেরী ভবনে দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল ৫ টা বিরতিহীন ভোট গ্রহণ ও কোনোও প্রার্থীর আচারণ বিধি লংঘনে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নির্বাচনে সব ধরণের প্রস্ততি নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ১৮৪৪ সালেে তৎকালীন বিট্রিশ সরকার আদালত ভবনটি নির্মাণ করে। দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর ১৮৮৫ সালে গণপূর্ত বিভাগ ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী ও পরিত্যক্ত ঘোষনা করলেও ৩৭ বছরেও এর উন্নয়নে ব্যবস্হা নেয়া হয়নি। ১৮৮৫ সালে আইনজীবি সমিতির প্রতিষ্ঠা হয়।
সিটি নিউজ/ডিটি