সুপেয় পানি সরবরাহে ফ্রান্সের সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

0

সিটি নিউজঃ বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মিঃ জিন মারিন সাসুহ্ আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবনে তাঁর অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। এই সময় মেয়র মহোদয় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ইউরোপীয় দেশগুলো আমাদের পাশে ছিল এবং তারা আমাদের সমর্থন ও কূটনৈতিক সহায়তা যোগান দেয়। বর্তমানে বাংলাদেশের চলমান টেকসই উন্নয়ন কর্মকান্ডেও তাদের বহুমাত্রিক সহয়তা আন্তঃদেশীয় বন্ধুত্বের বন্ধনকে সুদঢ় করেছে।

তিনি অতিথিকে অবগত করেন যে, চট্টগ্রামকে ঘিরে অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধির নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। চট্টগ্রাম পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক বন্দর এবং প্রাচ্য-প্রতীচ্য-পাশ্চাত্যের প্রবেশ দুায়র। বৃহত্তর চট্টগ্রামে একই সাথে অনেকগুলো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের পথে। ফলে চট্টগ্রাম বহুমাত্রিক বিদেশি বিনিয়োগের উর্বর ভূমি হিসেবে এখন বিশ্ব সমাদৃত।

তিনি সিটি কর্পোরেশেনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ফ্রান্সের সহযোগিতা করে বলেন, ফ্রান্সের মত দেশের উন্নত প্রযুক্তির সাথে সম্পক্ত হওয়া গেলে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। তাই এই বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রক্লপ বাস্তবায়নের জন্য ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে তিনি আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ৫৫ বছর ধরে অলিয়স ফ্রসেঁস ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি কেন্দ্র থেকে সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে যে ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে তাতে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। তাই আমাদের দু দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতির ভাবনা চিন্তার আদান প্রদানে অলিয়স ফ্রসেঁস একটি গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন। ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেয়রকে চট্টগ্রামকে নিয়ে তাঁর মুগ্ধতার কথা ব্যক্ত করে বলেন, চট্টগ্রামের সম্ভাব্যতার বিষয়টি অবশ্যই আমাদের সরকার মূল্যায়ন করে। আমরা ইতিমধ্যে ঢাকায় সুপেয় পানি সরবরাহে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যে সফলতা পেতে যাচ্ছি তার ধারাবাহিকতা রক্ষাকল্পে চট্টগ্রাম নগরীতেও একই ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান চট্টগ্রামের বৈশ্বিক গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে আমাদের সরকারকে এখানে বিনিয়োগ করতে কতটুকু এবং কিভাবে আগ্রহী করা যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক প্রয়াস অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট হবো। চট্টগ্রামে যেহেতু আন্তজার্তিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন সংযুক্তি সেহেতু পর্যটন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ আইটি খাতে বৈশ্বিক বিনিয়োগে একটি অনুকুল পরিবেশ নিশ্চিত হলে ফ্রান্স অবশ্যই সাড়া দেবে। এতেই বাংলাদেশ-ফ্রান্স মৈত্রী সুদঢ় হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সেলিম আখতার চৌধুরী , ডাঃ মোহাম্মদ আলী, অলিয়স ফ্রসেঁস পরিচালক ড. সেলভাম তোরেজ ও ড. গুরুপদ চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।

সিটি নিউজ/ডিটি

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.