ভাসানচরে ষষ্ঠ ধাপে পৌঁছালো ২১২৮ রোহিঙ্গা

সিটি নিউজ ডেস্ক : স্থানান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নোয়াখালীর ভাসানচরে ষষ্ঠ ধাপের প্রথম পর্বে পৌঁছালো আরো ২ হাজার ১২৮ জন রোহিঙ্গা।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় নৌ-বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ছয়টি জাহাজে চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়ে তারা ভাসানচরে পৌঁছান।

ষষ্ঠ ধাপের প্রথম পর্বে পৌঁছানো রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৫১২ জন পুরুষ, ৬১৩ জন নারী ও ১০০৩ জন শিশু রয়েছে। এসময় ঘাটে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

ভাসানচরে আসার পরপরই তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা। পরে ষষ্ঠ ধাপের প্রথম অংশে আসা রোহিঙ্গাদের দলটিকে নিয়ে যাওয়া হয় ওয়্যারহাউজে। সেখানে নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের ভাসানচরে বসবাসের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন সম্পর্কে ধারণা দেয়। ওয়্যার হাউজে তাদের দুপুরের খাবার খাওয়ানো হয়।

এরআগে, সকাল ৯টার দিকে নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়ন-৩ এ স্থানান্তরের লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় (এনএসআই এর তত্ত্বাবধানে) মোট ২১২৮ জন রোহিঙ্গা নৌবাহিনীর ছয়টি লজিস্টিক জাহাজযোগে চট্টগ্রাম বোটক্লাব জেটি হতে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়ে দুপুর ৩টায় এসে ভাসানচরে পৌঁছান।

ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহে আলম জানান, রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক মেডিক্যাল পরীক্ষা শেষে গাড়িযোগে ওয়্যার হাউজে সমবেত করে ব্রিফ দেওয়া হয়। পরে ভাসানচরের ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে আনুষ্ঠানিকভাবে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ভাসানচরে পৌঁছায় এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুতকৃত ৭, ৮, ৯ ও ১০ নম্বর ক্লাস্টারে তাদের রাখা হয়। প্রথমধাপে ভাসানচরে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশু রয়েছে ৮১০ জন, পুরুষ ৩৬৮ জন, নারী ৪৬৪ জন। এরমধ্যে পাঁচটি ধাপে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।

এর আগে, ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল হাতিয়ায় মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ শেষ হয়।

২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও আগেই শেষ হয় সব অবকাঠামো নির্মাণ। হাতিয়া থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ১৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার দ্বীপের এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম রয়েছে। এতে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  (ইউএনও) ইমরান হোসেন জানান, ভাসানচরের আশ্রয় শিবিরে মোট এক লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের।

সিটি নিউজ/এসআরএস