চসিকের ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিটি নিউজ: চট্টগ্রামের লালদীঘির দক্ষিণ পাড়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দুপুর ১২ টার দিকে চসিকের লাইব্রেরি ভবনের দুইটি ফ্লোর নিয়ে গড়ে তোলা ৫০ শয্যার সেন্টারটির উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) শুধুমাত্র স্বাস্থ্য সেবা না, চট্টগ্রামের নাগরিকদের সকল সুবিধা ও সেবার জন্য আমরা নিয়োজিত আছি। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করে যাবো চট্টগ্রামের সেবা করার জন্য। সকলের সহযোগিতায় আমরা এগিয়ে যাবো। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কিছু অংশ চসিককে দেয়ার দাবীটি প্রথম উত্থাপন করেছিলেন সাবেক মেয়র এ. বি. এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, আমি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আমার সাথে দেখা করতে এলে বিষয়টি তাঁকে অবগত করলে তিনি আমলে এনে বলেন, এ ব্যাপারে একমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অতঃপর সিদ্ধান্তটি গৃহীত হওয়ায় চট্টগ্রাম নগরবাসী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞই নয়, তিনি অনন্তকাল অন্তরে চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবু হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী।
আইসোলেশন সেন্টারের সমন্বয়কারী চসিকের আরবান হেলথ প্রকল্প পিএ-১ এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডা. মো. মুজিবুল আলম চৌধুরী জানান, ৫০ শয্যার মধ্যে দোতলায় ৩৫ শয্যা থাকছে পুরুষদের জন্য, তৃতীয়তলায় ১৫ শয্যা নারীদের। ইতিমধ্যে চসিকের পদায়ন করা ১১ জন চিকিৎসক যোগদান করেছেন। ১০ জন চিকিৎসক সবসময় থাকবেন। এ ছাড়া ১২ জন প্যারামেডিকস, ৩ জন ফার্মাসিস্ট, ৮ জন ওয়ার্ডবয়, ২ জন স্টোর কিপার, ৩ জন ওয়ার্ড মাস্টার রোস্টার অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি জানান, পরিস্থিতি বুঝে এ আইসোলেশন সেন্টার সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। তখন শয্যা ও জনবল বাড়ানো হবে। প্রাথমিকভাবে চসিকের আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসা করোনা রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধপত্র-অক্সিজেন সাপোর্ট, খাবারসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সেবা নিশ্চিত করা হবে। রোগী পরিবহন ও স্থানান্তরের জন্য থাকবে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। চসিকের লোকজনই সেন্টারের রোগীদের করোনাসহ অন্যান্য টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট পরীক্ষাগারে পৌঁছে দেবেন। জটিল রোগীদের দ্রুত সরকারি হাসপাতালে রেফার করা হবে।
সিটি নিউজ/ এসআরএস