জীবনের নিরাপত্তা চান সাংবাদিক গোলাম সরওয়ার

0

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিটি নিউজ: গত ৫ মাসে আমি ৪ বার সড়ক দূর্ঘটনায় পড়েছি।  প্রতিবারই আমাকে বহন করা গাড়ীকে পেছন থেকে ধাক্কা মেরেছে।  আমি আহত হয়েছি।  এগুলো কোন স্বাভাবিক ঘটনা নয়।  এ মূহুর্তে আমি জীবন নিয়ে শংকিত।

আজ বিকালে প্রেসক্লাবে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সদস্য (সিইউজে) , আজকের সূর্য়োদয় এর স্টাফ রির্পোটার ও সিটি নিউজ এর নির্বাহী সম্পাদক সাংবাদিক গোলাম সরওয়ার সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।

সাংবাদিক গোলাম সরওয়ার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমার পারিবারিক শত্রু এবং পেশাদারী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তৈরী হওয়া শত্রু পক্ষ উভয়ে যোগসাজসে আমাকে বার বার হত্যা করার চেষ্ট করছে। তারাই ধারাবাহিকতায় বিগত ২৯/১২/২০ইংরেজী তারিখে দুপুরে ১.০০ ঘটিকার সময় পাঁচলাইশ থানা সংলগ্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ শেষে রিকসাযোগে নিজ বাসায় ফিরে আসার সময় পাঁচলাইশ থানাধীন বদনাশাহ মাজারের সামনে রাস্তার উপর আসলে হঠাৎ পিছন থেকে সিএনজি নং চট্টমেট্রো-থ ১২-৫২৯৪ এর চালক বেপরোয়া গতীতে চালিয়ে সজোরে ধাক্কা দিলে রিকসা উল্টে যায়। এতে আমি ও রিকসা চালক আহত হই । আমার চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন গাড়ী আটকানোর চেষ্টা করিলে ড্রাইভার দ্রুত গতিতে চালিয়ে ঘটনা স্থল হতে পালিয়ে যায়।  আমার দায়ের করা অজ্ঞাত অপহরণ মামলার তদন্তকর্মকর্তাকে এ ঘটনার বিষয়ে অবহিত করলে তিনি তেমন দায়িত্বশীল আচরণ করেনি আমার সাথে। বরং উল্টো সেদিন আমাকে অপহরণ মামলার তদন্ত বিষয়ে তার সাথে জরুরী দেখা করতে বলেন। জেএমসেন হলের পাশে অবস্থিত পুলিশ ফাঁড়িতে সেদিন গেলে তদন্তকর্মকর্তার আচরনে আমি বিস্মিত এবং তার কথাগুলো শুনে আমি চরম আতঙ্কে রয়েছি এখনো।  পরবর্তীতে পুনরায় বিগত ১৮/৩/২০২১ ইংরেজী তারিখে বিকেল সাড়ে পাচঁটায় নগরীর জামালখান সিনিয়রস ক্লাবের সামনে একটি কালো প্রাইভেট গাড়ী ইচ্ছাকৃত ভাবে ধাক্কা দিলে আমি গুরতর আহত ও রিকশা চালক আহত হয়।  উক্ত গাড়িকে লোকজন আটক করতে চাইলে গাড়ির ড্রাইভার দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। এইভাবে বারে বারে আমাকে হত্যা করার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘১৫/১১/২০জি আর ৭৯২/২০ (কেতোয়ালী) মামলার মূল অভিযোগ ছিল একই উদ্দেশ্যে সংবাদ প্রকাশের জের ধরিয়া চেতনানাশক দ্রব্যাদি প্রয়োগ করিয়া ৩দিনের অধিক আটক রাখাসহ চুরি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধ।  মামলায় অজ্ঞাতনামা ৬ জনকে আসামী করি । পুলিশ মামলায় বিগত ১০/১২/২০২০ ইংরেজী তারিখ মোঃ শাহীন ও মোঃ ইব্রাহীম নামক দুইজন আসামী গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতারের পর আসামীগণ জামিনে বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন লাভ করে। অত্যন্ত আশ্চর্যজনক বিষয় হল,আসামী গ্রেফতার ও জামিনে বের হওয়ার বিষয়ে আমি মামলার বাদী কিংবা সাংবাদিক ইউনিয়নের কোন নেতৃবৃন্দ্য অবগত ছিলেন না।  দুঃখজনক ব্যাপার হল, আসামী জামিন হওয়ার পর আসামিগণকে রিমান্ডে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্তকারী র্কমর্কতা ধর্মেন্দুদাশ বিগত ২২/১২/২০ ইংরেজী তারিখে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।  তদন্তকারী কর্মকর্তার এমন ভূমিকা অবশ্যই রহস্যজনক।

আমাকে অন্যায়ভাবে অপহরণ করে নির্মম নির্যাতনের পর সংবাদ প্রকাশ করার কারনে দেওয়া হল মিথ্যা মামলা। বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত চট্টগ্রামে দেওয়া হল মানহানি মামলা, মামলা নং সিআর২১৭০/২০ (কতোয়ালী) অর্থঋন আদালতে দেওয়া ১৫/২০ নং মামলা চট্টগ্রাম জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত চট্টগ্রামে দেওয়া হল আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ। আমার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা ২টি দায়ের করেছেন চট্টগ্রামের প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য জনাব আনিসুজ্জামান চৌধুরী।

সত্য প্রকাশের অপরাধে আজ আমি নিয়মিত আসামি হিসেবে কোর্টের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি । বিচার পাওয়াতো দুরের কথা নিজেই হয়ে গেলাম মামলার আসামী। আমি এবং আমার স্ত্রী, সন্তান আজ খুবই মানবতার জীবন যাপন করছি।  কোন অপরাধ না করে নিজের জীবনের নিরপত্তাহীনতায় ভুগছি। সবার মত আমিও বাঁচতে চাই। সুন্দর একটি জীবন চাই। আমার পরিবারের জন্য আমাকে বাঁচতে দিন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর ২০২০ রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন তিনি। নিখোঁজের চার দিন পর রবিবার (০২ নভেম্বর) ২০২০ রাত ৮টার দিকে সীতাকুণ্ডের কুমিরার হাজীপাড়া ব্রিজ ঘাট এলাকায় তাকে পাওয়া যায়।

সিটি নিউজ /এসআরএস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.