সবার সহযোগিতায় করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে হবে-কাদের

0

সিটি নিউজ ডেস্ক : সবার সহযোগিতায় অদৃশ্য শত্রু করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২১ এপ্রিল) সরকারি বাসভবন থেকে খুলনা সড়ক জোন বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

সংকটে ‘লিপ সার্ভিস’ না দিয়ে বিএনপিকে জনমানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের রাজনীতি করতে হবে। দুর্যোগ সংকটে লিপ সার্ভিস না দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার সহযোগিতা চান। সবার সহযোগিতায় আজ এই অদৃশ্য শত্রু করোনাকে মোকাবিলা করতে হবে।

করোনার এই অভিন্ন সংকটে সবাইকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। এর জন্য সবার সহযোগিতা সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, সম্মিলিতভাবে সচেতনতার দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। এই প্রাণঘাতী করোনাকে আমাদের পরাজিত করতেই হবে। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে করোনা একদিন পরাজিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের কাছে ফিরে আসতে হবে। এখন জনকল্যাণের রাজনীতিই বেশি প্রয়োজন।

এ দেশের রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বিএনপি ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্র—উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি অর্জনকে তারা অপপ্রচার আর অন্ধ সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে। তাদের রাজনীতি নেতিবাচক ধারা এবং প্রতিক্রিয়াশীলতায় পুষ্ট। দেশ ও সমাজের গৌরবের দিনগুলো তারা বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করেছে। জনগণের সমর্থন না পেয়ে ক্ষমতায় যেতে খোঁজে অন্ধকারের চোরাগলি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জনমুখী রাজনীতি এবং উন্নয়নের রাজনীতি কথা-সর্বস্ব দলগুলোকে সংকটে ফেলেছে, তাদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের পথরেখায় ফেলেছে অন্ধকারের ছায়া।

লকডাউনের কারণে কর্মহীন অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ এবং ছিন্নমূল, ভাসমান মানুষদের সহায়তা করার জন্য দলীয় নেতাকর্মী ও সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষক পরিবার পাবে ৫ হাজার টাকা করে। এ জন্য সরকারের ৯৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

যশোর-খুলনা মহাসড়কের নোয়াপাড়া থেকে যশোরের দিকে যেতে প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক খুবই ক্ষতিগ্রস্ত, তাই জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, রাস্তা শুধু করলেই হবে না, তার রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। খুলনা-মোংলা সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ মোংলা পোর্টের কারণে সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা খুবই জরুরি।

প্রকৌশলীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, বর্ষার সময় হাত গুটিয়ে বসে না থেকে চলমান কাজের তদারকির পাশাপাশি নতুন কাজগুলোর টেন্ডার আহ্বান করে প্রয়োজনীয় কাজ এগিয়ে নিতে হবে, যাতে বর্ষার পরপর কাজ শুরু করা যায়।

সিটি নিউজ / এসআরএস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.