জলকদর খালের ভাঙ্গণে হারিয়ে যাওয়ার পথে বাঁশখালীর শেখেরখীলের বিস্তৃীর্ণ এলাকা

0

বাঁশখালী প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বুক ছিঁড়ে বয়ে যাওয়া জলকদর খাল কখনও আর্শীবাদ আবার কখনও অভিশাপে পরিনত হয়েছে বাঁশখালীর জন্য। এ সময় যোগাযোগ ও মালামাল পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম জলকদর খাল দখল করে বাসা বানিয়ে কেউ হয়েছে কোটিপতি আবার জলকদর খালের ভাঙ্গনের কবলে পড়ে কেউ হয়েছে নি:স্ব।

বাঁশখালীর পুকুরিয়া, সাধনপুর, বাহারছড়া,কাথরিয়া, সরল, গন্ডামারা, শেখেরখীল, চাম্বল বাংলাবাজার, পুইছড়ি ও ছনুয়া হয়ে এ জলকদর খালটি আবারো বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়েছে। জলকদর খালের দু,পাশে বাহারছড়া, কাথরিয়া, গন্ডামারা, চাম্বল বাংলাবাজার, পুইছড়ি, শেখেরখীল সহ বিভিন্ন স্থানে ৫শতাধিক ব্যক্কি অবৈধ দখল করে নানা ধরনের স্থাপনা করলেও অজ্ঞাত কারণে তা উচ্ছেদ করার কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

এদিকে জলকদর খালের ভাঙ্গনে অন্যান্য স্থানের ন্যায় শেখেরখীল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সরকার হাট, মাহব্বত আলী পাড়া, কাছারী পাড়া, সিকদার পাড়া, বাতার পাড়ার ৫ সহস্রাধিক মানুষ রয়েছে ঝুঁকিতে। যে কোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের লবনাক্ত পানি ডুকে ঘটতে পারে বড় ধরণের বিপর্যয়। তাই স্থানীয় জনগন জরুরী ভিক্তিতে এ এলাকায় বাঁধ সংস্কারে জন্য প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

গতকাল সরজমিনে এ ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শণ কালে স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুর রশিদ, ইসহাক, আলী, আমিন সওদাগর, জাফর উল্লাহ, আবু সহ অনেকে জানান জোয়ার আসলে স্থানীয় জনগন শংকায় থাকে কখন বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ডুকে এ আশংকায়। ব্যবসায়ী আবদুর রশিদ জানান সরকার হাট এলাকার এ বাঁধটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করা না হলে বর্ষা মৌসুমে ৫ সহস্রাধিক মানুষের দুর্ভোগের শেষ হবেনা।

শেখেরখীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, জলকদর খালের শেখেরখীল এলাকায় বাঁধ সংস্কারের জন্য নানা ভাবে আবেদন করা হয়েছে। এ এলাকার বাঁধ সংস্কার না হলে বর্ষায় অনেক বেশি কষ্ট পাবে জনগন এমনকি চলাচল ও করতে পারবেনা। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁশখালীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা বলেন বাঁশখালীর অভ্যান্তরীন জলকদর খালের দু,পাশে ৬০ কিমি এবং সাঙ্গু নদীর ৪.৭০ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কারের জন্য প্রপোজল পাঠানো হয়েছে। আর বাঁশখালীর উপকুলীয় ২৯৩ কোটি টাকার চলমান কাজে ছনুয়া ছাড়া অন্যান্য এলাকার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। খানখানাবাদের কদমরসুল প্রেমাশিয়া কিছু অংশ বেড়িবাধেঁর পোল্ডার এর বাইরে ছিল তার জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। আশা রাখি এসব কাজ করতে পারলে বাঁশখালীর জনগন আর দুর্যোগে কোন সমস্যা হবে না বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

বাঁশখালীর উপকুলে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মানের ব্যাপারে বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমি প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর আমার প্রথম দাবী ছিল বাঁশখালীর উপকুলে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার দাবী রেখেছে। বর্তমানে স্থায়ী বাধেঁর কাজ শেষ পর্যায়ে। উপকুলে আবারো নতুন করে শুরু হয়েছে বসতি ও নানা ধরনের সবজি চাষ। তাছাড়া সরকার বাঁশখালীর উপকুল দিয়ে হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ করার পরিকল্পনা নিয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে বাঁশখালীর উপকুল হবে শিল্প সমৃদ্ধ ও পয়র্টন স্পর্ট বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সিটি নিউজ/এসআরএস/কেবি

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.